যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা বাংলাদেশী আমেরিকান সহ বিভিন্ন কমিউনিটির মুসলিম নেতারা ক্যাপিটল হিলে রোহিঙ্গা নির্যাতন এবং তা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে ৪৮ জন কংগ্রেসম্যান ও সেনেটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এসময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন রোহিঙ্গাও ছিলেন। সেখানে ছিলেন তাওহীদুল ইসলাম।
মুসলিম নেতারা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে ঐসব কংগ্রেসম্যান ও সেনেটরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তারা কংগ্রেসম্যান ও সেনেটরদের কাছে রোহিঙ্গা নির্যাতনের নানা তথ্য তুলে ধরে বলেন, কেবল আমেরিকারই আছে ঐ গনহত্যা বন্ধ করার ক্ষমতা।
কংগ্রেসম্যান ও সেনেটরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা একটি দলে ছিলেন নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী আমেরিকান আনিকা রহমান এবং খায়রুল আলম। প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের কাছে তারা কি বলেছেন-- ভয়েস অফ আমেরিকার এমন প্রশ্নের উত্তর দেন খায়রুল আলম ও আনিকা রহমান।
প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া রোহিঙ্গা মো: নাসির আক্তার বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে এখনো অনেক রোহিঙ্গা রয়েছেন, যারা বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে চাইছেন।
কংগ্রেসম্যান ও সেনেটরদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মানবাধিকার সংগঠন আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো: নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যাবাসন নিয়ে চুক্তি হলেও সেখানে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেবার কোন কথা নেই। ফলে সেখানে ফিরে গেলেও তাদের জান-মালের নিরাপত্তা নেই। আর এই বিষয়টি নিয়েই রোহিঙ্গারা বেশী উদ্বিগ্ন।
ধর্মীয় নেতারা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রকে মিয়ানমারের ওপর আরো চাপ প্রয়োগের জন্য দেশটিকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এবং দেশটির ওপর নিশেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। এছাড়া মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগের আরো অনেক উপায় রয়েছে।
কংগ্রেসম্যান ও সেনেটররা ধর্মীয় নেতাদের রোহিঙ্গা ইস্যুতে আরো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।