আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০১৫।
প্রতিটি মানুষের এক ধরনের অধিকার যেটা তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য । মানুষ এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে । বাংলাদেশ অনেক ক্ষেত্রেই এগিয়ে গেলেও একজন নারীর স্বাস্থ্য সেবা কিংবা অর্থনৈতিক পরিমন্ডলে এখনো কিছু ঘাটতি দেখা যায় । যা নিয়ে বলছিলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এ কে এম নুর উন নবী । বাংলাদেশে একজন কিশোরীর নিয়ে হয়ে যাচ্ছে এখনো ১৮ বছরের কম বয়সে । সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য একজন নারীকে তার শারিরীক এবং মানসিক বিকাশের সময় এবং সুযোগ দেয়াটা খুব জরুরী বলে মনে করেন ড.নবী ।
তবে,সাফল্যের মাত্রাও কম না বলে জানালেন মানবাধিকার কর্মী এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল । এমডিজিতে বাংলাদেশের সাফল্য এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল । নারীরা নিজেদের এমন একটি জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছে যেখানে তারা তাদের অধিকারের কথা বলতে পারে ।
‘আমাদের স্বাধীনতা আমাদের অধিকার চিরন্তন’প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে পালিত হল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০১৫ । দিবসটি উপলক্ষে সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে নানা কর্মসূচীর পালিত হয়েছে । এর মধ্যে রয়েছে সভা,সেমিনার,র্যালী এবং সচেতনতা মূলক কার্যক্রম ।
এবারের দিবসটি একটি বিশেষ আবহে পালন করা হচ্ছে । আজকের দিনটি নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধে গৃহীত ১৬ দিনব্যাপী কার্যক্রমের শেষ দিবস । মানবাধিকার দিবসের সঙ্গে এই সংযুক্তি এটাই মনে করিয়ে দেয় যে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা মানবাধিকারের লঙ্ঘন ঘটায়, যা অবিচল অঙ্গীকার ও শক্তি দিয়ে বন্ধ করা প্রয়োজন । সহিংসতা নারী ও কিশোরীদের সমাজে অবদান রাখার সক্ষমতার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে । সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক সুলতানা কামাল আরো বলেন,
নারীর সমতা এবং ক্ষময়তায়নের স্থানটি এখনো নড়বড়ে । মানবাধিকারের চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও প্রশান্তি বিনষ্টের কারণ হওয়া উচিত নয় । মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য । এ অধিকার একই সাথে সহজাত ও আইনগত অধিকার । মানুষের বিশ্বাস এবং মেনে নেয়ার সক্ষমতার ভিত্তি তৈরী হয় নি । যা মজবুত করতে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে ।
শরীফ ঊল হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার ।
সহযোগিতায় – ইউএসএআইডি এবং ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রযোজনায় – রেডিও টুডে প্রাইভেট লিমিটেড ।