শরীফ-উল-হক
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
বাংলাদেশ পুষ্টিতে অন্যন্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে আছে। প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন শিশু সঠিক-সুষম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পায়। জন্মের পর প্রায় ৩৬ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে। বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজে সঠিক-সুষম পুষ্টি নিশ্চিতের জন্য অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সহকারী সচিব জনাব শফিকুল ইসলাম লস্কর। রাজধানী ঢাকার গুলশানে লেকশোর হোটেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এফ এ ও, ডব্লিউ এফ পি, ডব্লিউ এইচ ও এবং ইউনিসেফ -এর যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে মা শিশুর জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ’ নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু অপুষ্টির শিকার। সবাইকে একসাথে এগিয়ে এসে অপুষ্টিজনিত কারনগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে উদ্যোগী হবার আহবান জ়ানান তিনি।
২০১১ সালের সর্বশেষ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও প্রায় ২৪ শতাংশ গর্ভবতী মা অপুষ্টির শিকার। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ইউএন রিচ পার্টনারশীপ এর বাংলাদেশ শাখার এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার এডওইন শিল বললেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লক্ষ শিশু যাদের বয়স ৬মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে তারাও অপুষ্টিতে আক্রান্ত। এ ছাড়াও কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ লুতফর রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের অপারেশন প্রধান কাতসেমি রাজপাংথং এবং জাতীয় পুষ্টি সেবা অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড.নাসরিন খান সহ অন্যান্যরা। ড.নাসরিন খান এর মতে, অপুষ্টিজনিত সমস্যার জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে , বিশুদ্ধ পানির অপর্যাপ্ততা, সুষম খাদ্যের স্বল্পতা, অজ্ঞতা এবং স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নিয়ে অসচেতনতা। কর্মশালায় তিনি আরো বলেন, অপুষ্টিজনিত চিকিতসার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন অপুষ্টির কারণগুলো চিহ্নিত করা।
বাংলাদেশ একদিকে যেমন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নতি করছে সাথে সাথে প্রয়োজন মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা। তাহলেই একটি সফল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায়- ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
বাংলাদেশ পুষ্টিতে অন্যন্য দেশের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে পিছিয়ে আছে। প্রতি পাঁচ জন শিশুর মধ্যে মাত্র একজন শিশু সঠিক-সুষম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পায়। জন্মের পর প্রায় ৩৬ শতাংশ শিশু কম ওজন নিয়ে পৃথিবীর আলো দেখে। বাংলাদেশ সরকার নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ সমাজে সঠিক-সুষম পুষ্টি নিশ্চিতের জন্য অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাননীয় সহকারী সচিব জনাব শফিকুল ইসলাম লস্কর। রাজধানী ঢাকার গুলশানে লেকশোর হোটেলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, এফ এ ও, ডব্লিউ এফ পি, ডব্লিউ এইচ ও এবং ইউনিসেফ -এর যৌথ আয়োজনে ‘বাংলাদেশে মা শিশুর জন্য সঠিক পুষ্টি নিশ্চিতের লক্ষ্যে সমন্বিত উদ্যোগ’ নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু অপুষ্টির শিকার। সবাইকে একসাথে এগিয়ে এসে অপুষ্টিজনিত কারনগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানে উদ্যোগী হবার আহবান জ়ানান তিনি।
২০১১ সালের সর্বশেষ ডেমোগ্রাফিক এন্ড হেলথ সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখনও প্রায় ২৪ শতাংশ গর্ভবতী মা অপুষ্টির শিকার। কর্মশালায় আরো উপস্থিত ইউএন রিচ পার্টনারশীপ এর বাংলাদেশ শাখার এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন অফিসার এডওইন শিল বললেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ লক্ষ শিশু যাদের বয়স ৬মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে তারাও অপুষ্টিতে আক্রান্ত। এ ছাড়াও কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ লুতফর রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের অপারেশন প্রধান কাতসেমি রাজপাংথং এবং জাতীয় পুষ্টি সেবা অধিদপ্তরের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড.নাসরিন খান সহ অন্যান্যরা। ড.নাসরিন খান এর মতে, অপুষ্টিজনিত সমস্যার জন্য বেশ কিছু কারণ দায়ী। যাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে , বিশুদ্ধ পানির অপর্যাপ্ততা, সুষম খাদ্যের স্বল্পতা, অজ্ঞতা এবং স্যানিটেশন ব্যাবস্থা নিয়ে অসচেতনতা। কর্মশালায় তিনি আরো বলেন, অপুষ্টিজনিত চিকিতসার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ন অপুষ্টির কারণগুলো চিহ্নিত করা।
বাংলাদেশ একদিকে যেমন অর্থনৈতিক দিক দিয়ে উন্নতি করছে সাথে সাথে প্রয়োজন মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা। তাহলেই একটি সফল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বাংলাদেশ।