আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
গর্ভকালে মায়ের জ্বর, সর্দি বা ভাইরাসের সংক্রমণ শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মায়ের গর্ভে থাকাকালে এই সংক্রমণের কারণে শিশুর জন্মের পর অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটিতে মা ও শিশুর শারীরিক স্থিতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গর্ভকালের সংক্রমণ ভ্রুণে এমন প্রভাব রাখে যা পরবর্তীতে সামান্য ভাইরাস সংক্রমণেই শিশুর অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এটি ক্রমশঃ বাড়তে থাকে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গর্ভকালীন সংক্রমণের বিষয়টি অনেকেই খেয়াল করে না। অথচ এ সময় সংক্রমণের কারণে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। এ ব্যাপারে এনজেন্ডার হেলথের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত মায়ের হাসি প্রকল্পের পরিচালক ডা. আবু জামিল ফায়সাল বলেন, গর্ভকালে বা প্রসবের আগে মায়েদের যেসব সংক্রমণ হয় তা অনেকেই খেয়াল করে না। মনে করে সামান্য জ্বর বা সংক্রমণে আর কি হবে। এতে মায়ের ক্ষতি ছাড়াও গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে। এমনও অবস্থা দেখা গেছে, সংক্রমণের কারণে জ্বরের মাত্রা বেশি হয়ে গর্ভপাত হয়েছে।
ভাইরাস সংক্রমণ যেকোনো সময়েই হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় মায়ের ভাইরাস সংক্রমণ শিশুর শারীরিক গঠনের ক্ষতি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণের ধরণ প্রসঙ্গে ডা. ফায়সাল বলেন, প্রসবের আগে সংক্রমণের মধ্যে কিছু সংক্রমণ আছে যেমন: ভাইরাল ফিভার (উচ্চতাপের জ্বর), ইন্ফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে যদি বেশি জ্বর হয় তাহলে তা শিশুকে ক্ষতি করে । রুবেলা বা মিজলস্ সংক্রমণ বিশেষ করে জার্মান মিজলস্ শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার ছোটখাট সংক্রমণ সারাতে ঔষধ ব্যবহারও বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হয়।
গর্ভকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, সর্দি-হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকা এবং গা মুছে জ্বর কমিয়ে রাখার বিকল্প নেই। তবে হাম বা রুবেলা প্রতিরোধে শিশুবয়সেই টিকা দিতে হয়। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচী সম্পন্ন হয়েছে। এই প্র্রতিবেদনে মায়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা হচ্ছে, আপনি যদি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন অথবা ইতিমধ্যে গর্ভধারণ করে থাকেন, আপনার এবং অনাগত শিশুটির সুরক্ষায় গর্ভকালীন সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
গর্ভকালে মায়ের জ্বর, সর্দি বা ভাইরাসের সংক্রমণ শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মায়ের গর্ভে থাকাকালে এই সংক্রমণের কারণে শিশুর জন্মের পর অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। আমেরিকান কলেজ অফ অ্যালার্জি, অ্যাজমা অ্যান্ড ইমিউনোলজির এক সাম্প্রতিক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটিতে মা ও শিশুর শারীরিক স্থিতি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, গর্ভকালের সংক্রমণ ভ্রুণে এমন প্রভাব রাখে যা পরবর্তীতে সামান্য ভাইরাস সংক্রমণেই শিশুর অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় এবং এটি ক্রমশঃ বাড়তে থাকে।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গর্ভকালীন সংক্রমণের বিষয়টি অনেকেই খেয়াল করে না। অথচ এ সময় সংক্রমণের কারণে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। এ ব্যাপারে এনজেন্ডার হেলথের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এবং ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে পরিচালিত মায়ের হাসি প্রকল্পের পরিচালক ডা. আবু জামিল ফায়সাল বলেন, গর্ভকালে বা প্রসবের আগে মায়েদের যেসব সংক্রমণ হয় তা অনেকেই খেয়াল করে না। মনে করে সামান্য জ্বর বা সংক্রমণে আর কি হবে। এতে মায়ের ক্ষতি ছাড়াও গর্ভের সন্তানেরও ক্ষতি হতে পারে। এমনও অবস্থা দেখা গেছে, সংক্রমণের কারণে জ্বরের মাত্রা বেশি হয়ে গর্ভপাত হয়েছে।
ভাইরাস সংক্রমণ যেকোনো সময়েই হতে পারে। তবে গর্ভাবস্থায় মায়ের ভাইরাস সংক্রমণ শিশুর শারীরিক গঠনের ক্ষতি করতে পারে। গর্ভাবস্থায় ভাইরাস সংক্রমণের ধরণ প্রসঙ্গে ডা. ফায়সাল বলেন, প্রসবের আগে সংক্রমণের মধ্যে কিছু সংক্রমণ আছে যেমন: ভাইরাল ফিভার (উচ্চতাপের জ্বর), ইন্ফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় ভাইরাস দিয়ে আক্রান্ত হয়ে যদি বেশি জ্বর হয় তাহলে তা শিশুকে ক্ষতি করে । রুবেলা বা মিজলস্ সংক্রমণ বিশেষ করে জার্মান মিজলস্ শিশুর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আবার ছোটখাট সংক্রমণ সারাতে ঔষধ ব্যবহারও বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর হয়।
গর্ভকালীন সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা, সর্দি-হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকা এবং গা মুছে জ্বর কমিয়ে রাখার বিকল্প নেই। তবে হাম বা রুবেলা প্রতিরোধে শিশুবয়সেই টিকা দিতে হয়। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচী সম্পন্ন হয়েছে। এই প্র্রতিবেদনে মায়েদের উদ্দেশ্যে বার্তা হচ্ছে, আপনি যদি সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন অথবা ইতিমধ্যে গর্ভধারণ করে থাকেন, আপনার এবং অনাগত শিশুটির সুরক্ষায় গর্ভকালীন সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন থাকুন।