বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনের জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। একদিকে আন্দোলনকারীদের ছাত্রলীগ ও পুলিশ পেটাচ্ছে। বের করে দিচ্ছে হাসপাতাল থেকে। অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করেছে। সর্বশেষ প্রশাসন বহিরাগতদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অভিভাবকরাও ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে অনুমতি ছাড়া দেখা করতে পারবেন না। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিংবা চরমপন্থীরা যাতে হলে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখতে বলা হয়েছে।
একদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান আন্দোলনকারীদের আল-কায়েদা, আল-শাবাব ও বোকো হারামের কৌশলের সঙ্গে তুলনা করেন। যা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলে। এ সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। ছাত্ররাও করে। তাই বলে আন্দোলনকারী ছাত্রদেরকে কি করে বলি তারাও জঙ্গি।
এদিকে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নিজস্ব এক ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে বলেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা দেশ গঠনের মৌলিক নীতির বিরোধী। দূতাবাসের তরফে বলা হয়, যারা বাক-স্বাধীনতা, সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদসহ মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের পাশে থাকবে।