ডাচ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা রবিবার বলেছেন, সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিমানে করে নেদারল্যান্ডসে আসা ১৩ জনের করোনভাইরাসের নতুন প্রকরণ ওমিক্রন পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার আমস্টারডামে আসার পর, যে ৬১ জন যাত্রী করোনভাইরাস পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়, ওই ১৩ জন ছিল তাদেরই দলে।
সম্প্রতি সিডনিতে আসা যাত্রীদের মধ্যে দু’জনের শরীরে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট পাওয়া গেছে- ওই ঘোষণার কিছুক্ষণ পর, আমস্টারডামের এই খবর এলো।
ওমিক্রন হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিহ্নিত করোনভাইরাস-এর পঞ্চম এক উদ্বেগজনক ভেরিয়েন্ট। এটি সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হয়, যেখানে করোনভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই করোনভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে প্রায় ৩০টি মিউটেশন রয়েছে, এবং তাদের মধ্যে কিছু ভাইরাস খুব সহজেই সংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। তবে, ওমিক্রন আসলে তার চেয়েও বেশী সংক্রমণযোগ্য বা বিপজ্জনক কিনা, বিজ্ঞানীরা এখনও তা ঠিক বলতে পারছেনা।
এর আগে, ইসরায়েল, হংকং এবং ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেও এই ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।
এই ভেরিয়েন্ট সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি সহ আরও অনেক দেশ। দেশগুলি ইতোমদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভ্রমণ সীমিত বা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
তবে, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলিকে "তাড়াহুড়ো" বলে অভিহিত করেছে, এবং ব্যবসার উপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ, ডাঃ অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে থেকে থাকলে তিনি মোটেও অবাক হবেন না।
তিনি বলেন, বর্তমান ভ্যাকসিনগুলি নতুন এই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর কিনা, তা নির্ধারণ করার চেষ্টা চলছে এবং এর উত্তর সম্ভবত আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে পাওয়া যাবে।