বাংলাদেশের মুসলমানরা সোমবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় এবং আনন্দ মুখর পরিবেশে উদযাপন করেছেন।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর সকালে দেশের সর্বত্র ঈদগাহ, মসজিদ এবং ময়দানে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ঈদের দিনব্যাপী কর্মসূচীর সূচনা হয়। নামাজ শেষে দেশ এবং জাতি তথা মুসলিম বিশ্বের শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
রাজধানী ঢাকায় প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে যেখানে নামাজ আদায় করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। ঈদের বৃহত্তম দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয় যথাক্রমে কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায় এবং দিনাজপুর জেলা শহরে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পৃথক ভাবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এবং বিদেশী কূটনীতিকদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদ উপলক্ষে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষ বিশেষ করে সাম্প্রতিক দুর্যোগ কবলিতদের মাঝে কাপড় এবং খাবার বিতরণ করেছে বিভিন্ন সমাজ সেবা সংগঠন এবং ব্যক্তি বিশেষ।
এদিকে, গত মার্চ-এপ্রিলের অকাল বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ ৭টি জেলার বিশাল এক এলাকার লাখ-লাখ মানুষের কাছে এবারের ঈদুল ফিতর ছিল অতীতের কোন বছরের তুলনায় ভিন্নমাত্রার এবং সম্পূর্নভাবে আলাদা।
এ বছরের ঈদ ছিল ওই সব মানুষের কাছে আনন্দ-উচ্ছাসহীন সাধারন একটি দিনমাত্র। ৭ জেলার বিশাল ওই হাওর এলাকার ৯ লাখ হেক্টর জমির ৮০ শতাংশেরও বেশীর ফসল সম্পূর্ন তলিয়ে যায় অকাল বর্ষন ও পাহাড়ী ঢলে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হন ২৪ লাখেরও বেশী পরিবার। একইসাথে মাছ, হাস-মুরগী, গবাদি পশুরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এই অবস্থায় কেমন ছিল হাওরাঞ্চলের মানুষের ঈদ? কিশোরগঞ্জের মোর্শেদা তালুকদার, আর সুনামগঞ্জের এলেমান মিয়া জানিয়েছেন তাদের পরিস্থিতি সম্পর্কে।
একইভাবে নিরানন্দের ঈদ উদযাপন করছেন পাহাড় ধসে লন্ড-ভন্ড হওয়া রাঙ্গামাটি এলাকার মানুষজন।