আজ সকালে কাবুল বিমানবন্দর থেকে ৮৫ জনের মতো ভারতীয় নাগরিককে নিয়ে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি পরিবহন বিমান তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে গিয়ে নেমেছে। সেখান থেকে কোনও বাণিজ্যিক বিমানে তাঁদের ভারতে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে আজ সকালে খবর রটে যায়, তালিবান দেড়শো জনেরও বেশি ভারতীয়কে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এমনকি এও রটিয়ে দেয় যে, তাঁদের হত্যা করা হয়েছে, অথবা আটকে রাখা হয়েছে।
পরে অবশ্য ভারতের সরকারি সূত্রে বলা হয়, ভারতে ফেরার জন্য অপেক্ষারত ওই দেড়শো জনকে তালিবান কর্মীরা বিমানবন্দরের কাছে একটি থানায় কাগজপত্র পরীক্ষা করার জন্য নিয়ে গিয়েছিল। তার পর তারা ওঁদের ছেড়ে দেয়। এখন সকলেই নিরাপদে কাবুল বিমানবন্দরে ভেতরে ঢুকে অপেক্ষা করছেন। তাঁদের ওখান থেকে দেশে নিয়ে আসার জন্য ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিমান যাচ্ছে।
তবে আফগান শিখ ও হিন্দুরা এঁদের মতো ভাগ্যবান নন। ৭২ জনের মতো শিখ, কয়েকজন হিন্দু, আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দু'জন আফগান সংসদ সদস্য ভারতে আসার জন্য শুক্রবার থেকে কাবুল বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু আজ সকালে তালিবান কর্তৃপক্ষ তাঁদের ঘরে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে। তালিবানের বক্তব্য, ওঁরা আফগানিস্তানের নাগরিক। বিদেশে যাওয়ার কোনও দরকার তাঁদের নেই। এর পর ওঁরা আবার কাবুলের গুরদোয়ারায় ফিরে যান। সেখানে শ'দুয়েকের মতো শিখ ও কিছু হিন্দু আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও তালিবান তাঁদের ভরসা দিয়েছে, কোনও রকম বিপদ হবে না, ওঁরা আশ্বস্ত হতে পারছেন না।
ভারত সরকার এর আগে বলেছিল, যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে শিখ ও হিন্দুদের ভারতে নিয়ে আসাটা ভারতের কাছে অগ্রাধিকার। তবে আজকের এই ঘটনার পর বোঝা যাচ্ছে, তালিবান কর্তৃপক্ষ আফগান নাগরিকদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে দিতে চান না। এর পরেও তাঁদের নিয়ে আসতে চাইলে তালিবানের সঙ্গে ভারতের আলোচনা করতে হবে।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এখনও হাজার খানেকের মতো ভারতীয় নাগরিক আফগানিস্তানের নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। তাঁদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাবুল বিমানবন্দরের অপেক্ষাকৃত নিরাপত্তার বলয়ে নিয়ে আসতে পারাটাই একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।