আজ একুশে ফেব্রুয়ারী আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে ওপার বাংলার সঙ্গে এপার বাংলাও ভাষা শহিদদের প্রণাম জানাল। গতকাল সোমবার ভারতীয় সময় মধ্যরাতে ঢাকায় যখন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী মোমবাতি জাল্বেন শহীদ দের স্মৃতিতে তখন এপারের মুর্শিদাবাদের বাবলা গ্রামেও শহিদ তর্পণ করলেন হাজার-হাজার মানুষ৷ আজ কলকাতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে বিকেলে মূল অনুষ্ঠানটি হয় দক্ষিণ কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানান৷ শহরের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলাতেও এই দিনটি পরম শ্রদ্ধায় পালিত হয়৷ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেও বিপুল সাড়া মেলে৷ ফেসবুক, টুইটার বা হোয়াটসঅ্যাপে চলে ভাষা দিবসের পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়৷প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শহরে বিড়লা তারামণ্ডলের উল্টোদিকে ভাষা শহিদ পার্ক গড়েছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এদিন দুপুর বারোটা তিরিশনাগাদ এই পার্কে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ ছিলেন মন্ত্রী মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন৷ এদিন ভাষাদিবস উদযাপিত হয় ভারত বাংলাদেশসীমান্তের পেট্রাপোলে৷ সেখানে নোম্যান্স ল্যান্ডে দুই বাংলার মানুষের অংশ গ্রহনে যৌথ ভাবে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়, একই সাথে সর্ম্পকের বাঁধনে বাঁধতে আয়োজিত হয় এক রক্তদান শিবির , যেখানে এপার বাংলার মানুষের দেওয়া রক্ত যাবে ওপার বাংলায় এবং ওপার বাংলার মানুষের দেওয়া রক্ত পাবে এপার বাংলা।এদিকে এদিন কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন থেকে দিনটির স্মরণে প্রভাতফেরিতে কর্মরত আধিকারিক ও কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা যোগ দেন৷ বিশ্বভারতী, রবীন্দ্রভারতী ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রী পড়তে আসেন৷ তাঁদের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়৷ এছাড়াও ভাষা শহীদ স্মারক সমিতির উদ্যোগেও কলকাতার ভাষা উদ্যানে দিনটি গভীর শ্রদ্ধার সংগে পালিত হয়।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।