ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে হাইরিস্ক দেশ হিসেবেই বিবেচনা করছে। তারা মনে করে কুয়েত, সোমালিয়া, মিশর ও ইয়েমেনের কাতারেই যুক্ত রয়েছে দেশটি। আর এ কারণে আকাশ পথে কার্গো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বলেছে, আগের বলবৎ বিধি-নিষেধের সঙ্গে এখন বিস্ফোরক সনাক্তকরণ যন্ত্র যুক্ত করতে হবে। ২০১৬ সালে নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশ থেকে আকাশ পথে সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বৃটেন। সে নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, এটা কেবল এয়ার কার্গোই নয় শিপিং-এর ক্ষেত্রেও তাই। উল্লেখ্য যে, সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সিভিল এভিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানায়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে হয় ঢাকায়, অথবা দুবাই, দোহা বা ইস্তাবুলে পণ্য স্ক্যান করে দেখতে হবে বিস্ফোরক রয়েছে কিনা।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।