আদর্শ শব্দটি আসলে খুব সদর্থক । সেই অর্থে উগ্রবাদিরা যে ঠিক আদর্শবাদি সেটা বলা ঠিক হবে না কিন্তু তারাও এক ধরণের মতাদর্শে বিশ্বাস করে যে মতাদর্শে তাদের সব কিছুই উৎকৃষ্ট এবং অন্যরা নিতান্তই নিকৃষ্ট । এই অনুভবের পেছনে এক ধরণের হীনমণ্যতা বোধও কাজ করে বলে মনে করেন আলোচকরা। আর এই অনুভূতি থেকেই নিজেকে শক্তিশালি প্রমাণ করার একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় , এই ধরণের মতামত যারা পোষণ করেন তাদের মধ্যে তখন এক ধরণের পাওয়ার বা ক্ষমতা লাভের প্রচেষ্টা প্রযুক্ত হয় ।
উগ্রবাদি তত্বে যে একক ভাবে ধর্ম ব্যবহৃত হয় , তা কিন্তু নয়, উগ্রবাদি তত্ব ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে তবে এর যে অভিন্ন রূপটা সেটা হলো জোর করে নিজের মতাদর্শ অপরের উপর চাপিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা। আবার রাজনীতি যেমন ধর্মকে ব্যবহার করে তেমনি ধর্মও ব্যবহার করে রাজনীতিকে।
উগ্রবাদ :উৎকন্ঠা ও উত্তরণ এই ধারাবাহিক অনুষ্ঠানটি এই দফায় এটি শেষ পর্ব তবে প্রসঙ্গটি আগামিতে ও বার বার ফিরে আসতে পারে যেহেতু উগ্রবাদ মতবাদ হিসেবেই বলুন কিংবা সহিংস ভাবে প্রয়োগের উপায় হিসেবই বলুন এখনো আমাদের তাড়া করে যাচ্ছে। আমরা প্রত্যাশাই রাখবো সমাজের কাছে এবং ব্যক্তির কাছেও যে তারা যেন আমিত্ববোধ থেকে বেরিয়ে আসেন ।