উগ্রবাদ নিয়ে উৎকন্ঠা এখন বিশ্বব্যাপী।যুক্তি পরাস্ত হচ্ছে বার বার অপশক্তির কাছে। ভক্তিও আনত প্রায় অপশক্তির উপদ্রবেই ।
মানবতাবোধের প্রতি অকষ্মাৎ এই চ্যালেঞ্জ কেন, এর স্বরূপ কি, কী ভাবেই বা এ থেকে বেরিয়ে আসা যায় , এ সব কিছুর অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ আমাদের এই রবিবারিক আয়োজনে।
আজ থেকে প্রায় সতেরো বছর আগে যখন আমরা একুশ শতকে প্রবেশ করলাম, তখন বিশ্বজুড়ে ছিল এক প্রচন্ড আশাবাদ ।কেবল যে শতাব্দির পরিবর্তনের কারণে , তা বোধ হয় না, বার্লিন দেওয়ালের অবসান থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিন প্রযুক্তির বিস্তার পর্যন্ত প্রায় সব কিছুর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী এক আশাবাদের সঞ্চার হয়েছিল । বানিজ্যিক ব্যাপ্তির বাইরেও বিশ্বায়ন শব্দটির একটি মানবিক চালচিত্রও আমরা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু এরই পাশপাশি ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের উপর ব্যাপক এক সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় তিন হাজার লোক প্রাণ হারায় , আহত হয় এর দ্বিগুণ সংখ্যক লোক। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে উগ্রবাদ সহিংস আকার ধারণ করেছে । বাংলাদেশ ও সে থেকে মুক্ত নয় । উগ্রবাদের সংজ্ঞা ও বিস্তার নিয়ে আজ যাঁদের মন্তব্য সংযুক্ত হলো , তাঁরা হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক , বিশিষ্ট নিবন্ধকার ডঃ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন , যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের মিডলবারি ইন্সটিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক অধ্যাপক জেওফ্রে বেইল এবং আলেম সমাজের একজন, জনাব আশরাফ আলী, যিনি ধর্মকে, ঘৃণা নয়, ভালোবাসার বিষয় মনে করেন।