জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ বড় ধরনের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে। এফএও অতি সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বড় ধরনের স্থানীয় পর্যায়ের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকট রয়েছে- এমন ৪৫টি দেশের যে তালিকা করেছে- বাংলাদেশ এই তালিকার অন্যতম একটি দেশ। তালিকায় এশিয়ার ৯টি দেশও রয়েছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বলছে, এই খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় বাংলাদেশসহ ওইসব দেশকে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে খাদ্য আমদানি অথবা খাদ্য সহায়তা গ্রহণ করতে হয়। সংস্থাটি বাংলাদেশ সম্পর্কে বলেছে, করোনার নেতিবাচক প্রভাবের সাথে সাথে বন্যা এবং খাদ্য দ্রব্যের মূল্যস্ফীতি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সংকটকে বাড়িয়ে তুলেছে। করোনার প্রভাব ও বন্যায় শস্য বিনষ্ট হওয়া এবং খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধির কারণে ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২১-এর জানুয়ারিতে চালের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। সংস্থাটি বাংলাদেশ সরকারের তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, ২০১৯-এর জুনের তুলনায় ২০২০-এর জুন অর্থাৎ এক বছরে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে ৯ শতাংশ।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদনে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
এদিকে, দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সম্প্রতি অপর এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছে, খাদ্য নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিম্নমুখী। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান বিশ্বের ১১৩টি দেশের মধ্যে ৮৪তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে নিচে।