ভারতের কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫তে। বন্যা কবলিত রাজ্যের একাধিক জেলা। রাজ্যে দক্ষিণ ও মধ্যভাগে ধ্বস নেমে বাড়িঘর ভেঙেছে। পানিবন্দী কয়েক শ মানুষ। রবিবার সকালে জানা যায়, ইদ্দুকি ও কোট্টায়াম জেলায় জলের তোড়ে ভেসে মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। রবিবার বিকালে খবর এসেছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫।
ইদুক্কি, ওয়ানাড়, এর্নাকুলাম-সহ রাজ্যের অধিকাংশ জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ চলেছে রাতভর। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। উদুক্কি, চেরুথানি বাঁধের গেট খুলে দেওয়ায় পেরিয়ার নদীর দুই পারের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ), সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, কেরালার ৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইদ্দুকি, কোট্টায়াম ও পথনামথিট্টার মতো পাহাড়ি জেলাগুলিতে নদীর জলসীমা বেড়ে গেছে। মীনাচল ও মণিমালা নদীর পানি বেড়ে দুকুল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কেরালার পরিস্থিতিকে ‘গুরুতর’ বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে ফোন করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীও সংশ্লিষ্ট সব দফতরের সঙ্গে ঘনঘন বৈঠক করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং তার মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ভয়াবহ পরিস্থিতি। বহু মানুষ বিপর্যস্ত। তাঁদের উদ্ধার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেরালার বিপর্যয় মোকাবিলা ও তদারকি করতে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যা ও ধ্বস সংক্রান্ত বিপর্যয়েই এই মৃত্যু। বহু এলাকা থেকে অনেকের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।। বহু এলাকায় সেতু ও রাস্তা ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন মানুষজন। এনডিআরএফের ১১টি দল, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।