যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর যোগযোগের ব্যাপারে এফ বি আই কে মিথ্যে কথা বলার অপরাধে সোমবার যে কারাদন্ড দেওয়ার কথা ছিল তা মুলতবি ঘোষনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক এমেট সালিভানের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে , ফ্লিনকে কারাগারে পাঠানো হবে কী না। বিশেষ কৌঁশুলি রবর্ট মূলার বলেছেন,ফ্লিন যে ভাবে কৌশুলিদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন , তার কারণেই শাস্তি হিসেবে তাঁকে জেলে পাঠানোটা ঠিক হবে না।
মূলার ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ এবং রাশিয়া ও প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী অভিযানে সম্ভাব্য গোপন যোগসাজের বিষয় নিয়ে তদন্ত করছেন।
ফ্লিন , যিনি সেনাবাহিনীর একজন সাবেক জেনারেল এবং প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তরের সাবেক প্রধান, ট্রাম্পের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে কাজ করেছিলেন কিন্তু তিনি এক মাসের মধ্যেই পতদ্যাগে বাধ্য হন যখন এ রকম খবর ফাঁস হয়ে যায় যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত তৎকালীন রুশ রাষ্ট্রদূত সার্গে কিসলিয়াকের সঙ্গে নির্বাচনের দিন থেকে, ট্রাম্পের অভিষেকের দিন পর্যন্ত তাঁর আলোচনার ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে মিথ্যে কথা বলেছিলেন। পরে ফ্লিন বিশেষ কৌশুলির সঙ্গে সহযোগিতা করা শুরু করেন যখন কিসলিয়াকের ব্যাপারে ফেডারেল সংস্থাগুলোকে মিথ্যে কথা বলেছিলেন বলে স্বীকার করেন। ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন ৫ জনের মধ্যে ফ্লিনই হচ্ছেন প্রথম ব্যক্তি, যিনি বিশেষ কৌশুলির দপ্তরে নিজের অপরাধ স্বীকার করেন