অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারত-চীন সীমান্ত সমস্যা সমাধানে দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক 


সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের অন্তর্গত দেশগুলোর বিদেশ মন্ত্রীরা। ছবি: রয়টার্স
সাংহাই সহযোগিতা সংগঠনের অন্তর্গত দেশগুলোর বিদেশ মন্ত্রীরা। ছবি: রয়টার্স

ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবেতে চীনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। দুই দেশের সীমান্তে যেসব সমস্যা এখনো রয়ে গেছে সেগুলো দূর করার জন্য ভারত ও চীনের আরও আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে বলে দুপক্ষই মত প্রকাশ করেছে।

আজ জয়শঙ্কর এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-এর সঙ্গে কথা হল। সাংহাই সহযোগিতা সংগঠন এসসিও-র শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি আমরা আলাদা করে বসে আমাদের দুই দেশের মধ্যে যে সব সীমান্ত সমস্যার এখনও সমাধান করা যায়নি, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। দু'জনেই স্বীকার করেছি যে আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি ও স্থিতি আনাটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতি হবে এই আশা রেখে জয়শঙ্কর বলেন, সভ্যতার সঙ্ঘর্ষের নীতিতে ভারত বিশ্বাস করে না। চীন যাতে তৃতীয় কোনও দেশের চোখ দিয়ে ভারতকে না দেখে, সেটাও অত্যন্ত জরুরি। জয়শঙ্কর বলেন, আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাই দুই বৃহৎ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন নিজেদের মধ্যে কতটা মিত্রের মতো আচরণ করছে, সেটা বাকি প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে উদাহরণ হয়ে থাকা উচিত এবং সেই মৈত্রীর ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিক মর্যাদাবোধ।

লাদাখে এখনও দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে একটা অনিশ্চয়তার ভাব রয়ে গিয়েছে। বহুবার সেনা পর্যায়ে ও কূটনৈতিক পর্যায়ে বৈঠকের পরেও তা পুরোপুরি মেটেনি। এ ব্যাপারে ভারতের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ভারতের অবস্থান যা ছিল এখনও সেই একই রয়েছে।

জয়শঙ্কর ও ওয়াং-এর বৈঠকে স্বভাবতই আফগানিস্তানের প্রসঙ্গও ওঠে। চীনের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, আফগানিস্তানকে দূরে সরিয়ে রাখা উচিত নয়।

XS
SM
MD
LG