অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানের প্রয়োজন ত্রাণ, তবে তালিবান যেন তা নিয়ন্ত্রণ না করে - জি টোয়েন্টি নেতৃবৃন্দ


আফগানিস্তানের কাবুলে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি শিবিরে একজন মহিলা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১।
আফগানিস্তানের কাবুলে বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি শিবিরে একজন মহিলা একটি শিশুকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১।

বিশ্বের ২০টি শীর্ষ অর্থনীতির দেশের জোট জি টোয়েন্টির সরকার প্রধান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মঙ্গলবার একটি ভিডিও বৈঠকে আফগানিস্তানকে আরও নগদ অর্থ দেবার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুয়েতেরেজ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি এখন তালিবানের নিয়ন্ত্রণে, যা মানবিক বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁর ঐ হুঁশিয়ারির পরে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাগির আয়োজনে আফগানিস্তান নিয়ে অনুষ্ঠিত জি টোয়েন্টির নেতাদের ঐ বৈঠকের কয়েক ঘন্টা আগে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব গুয়েতেরেজ বলেন, 'আমরা যদি আফগানদের এই সংকট মোকাবেলা করতে পদক্ষেপ না নেই ও সাহায্য না করি এবং তা শীঘ্রই না করি, তাহলে কেবল তারা নয়, সারা বিশ্বকেই এর চরম মূল্য দিতে হবে'।

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসা এবং আগস্টে তালিবান দেশটির নিয়ন্ত্রণ নেবার পরিণতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলো প্রথমবারের মত বৈঠকে মিলিত হয়েছিল।

গুয়েতেরেজ বলেন, 'খাবার, চাকরি ও তাদের অধিকার সুরক্ষিত না থাকলে আমরা আরও বেশি করে দেখতে পাবো যে, আফগানরা তাদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে উন্নত জীবনের সন্ধান করছে। অবৈধ মাদক, অপরাধী ও সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কও বৃদ্ধি পেতে পারে'।

সামিট চলাকালীন দ্রাগিসহ জি-২০ নেতাদের কন্ঠে জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারির প্রতিধ্বনি শোনা গেছে। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুইগি ডি মাইও বলেন, 'আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে রাষ্ট্রটি ভেঙ্গে পড়ছে না'।

আফগানিস্তানে একটি বড় মানবিক ও আর্থ-সামাজিক বিপর্যয় এড়াতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মেলনে দেশটির জন্য ১.১৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।

XS
SM
MD
LG