সাতটি ধনী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গোষ্ঠি বা গ্রুপ অফ সেভেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা লন্ডনে তাঁদের তিন দিনব্যাপী আলোচনার আজ শেষ দিনে আন্তর্জাতিক আগ্রহের কয়েকটি বিষয়ের প্রতি তাঁদের মনোযোগ নিবদ্ধ করেছেন যার মধ্যে রয়েছে করোনাভাইরাসের টীকা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মেয়েদের জন্য শিক্ষা। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডমিনিক রাব মঙ্গলবার বলেন, “আমার মনে হয় করোনার টীকা, ‘এর অর্থায়নের সক্ষমতা , অধিকাংশ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে টীকা পাঠানো, অভ্যন্তরীণ বাড়তি সরবরাহ দিয়ে আমরা কি করবো এই সব বিষয় নিয়ে জি-সেভেনে এবং আমাদের ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার এবং ইতিবাচক জবাব পাওয়ার সুযোগ হয়। ব্রিটেন মন্ত্রী পর্যায়ের এই আলোচনার আয়োজন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং জনসনের দপ্তর কভিড ১৯ এর টীকা যাতে বিশ্বব্যাপী সকলের নাগালের মধ্যে থাকে তার উপর জোর দেন। ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন এ ব্যাপারে সহমত যে বিশ্বব্যাপী টীকার সহজ প্রাপ্তি করোনাভাইরাস মহামারিকে পরাস্ত করার চাবিকাঠি। তাঁরা এ ব্যাপারে জি-সেভেনের কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন যার মধ্যে রয়েছে এ টীকা তৈরির আন্তর্জাতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি”।
মঙ্গলবারের জি-সেভেন বৈঠকে চীনের উপর আলোকপাত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা সংবাদদাতাদের বলেন মন্ত্রীদের মধ্যে এ ব্যাপারে একটা মোটাদাগের সহমত রয়েছে যে আমরা সকলেই চাই চীন হোক আন্তর্জাতিক পর্যায়ের একটি অবিচ্ছিন্ন সদস্য তবে সে জন্য চীনকে ঐ আন্তর্জাতিক নিয়ম নিষ্ঠা পালন করতে হবে”। মঙ্গলবার ব্লিংকেন আরও বলেন জি-সেভেন দেশগুলো সিরিয়ায় দশ বছর ব্যাপী গৃহ যুদ্ধের অবসান চায়।