ঢাকার কাছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে গায়েবী ভোট, বিরোধী এজেন্টদের বের করে দেয়া, প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ আনা হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সাংবাদিকরাও ছিলেন অবরুদ্ধ। ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সকালের দিকে ভোটারের বেশ উপস্থিতি ছিল। দুপুরের পর তা কমে যায়। ১১ লাখ ৩৭ হাজার ভোটারের এই সিটি করপোরেশনে এটা ছিল দ্বিতীয় নির্বাচন। বিরোধী বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে। বিগত ৮০ বছরেও গাজীপুরের মানুষ এমন নির্বাচন দেখেনি।ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, নির্বাচন ভালো হয়েছে। কয়েকটি কেন্দ্র বন্ধ হলেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি গাজীপুরবাসীকে অপমান করেছে।বিএনপির তরফে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শতাধিক কেন্দ্রে জাল ভোটের মহোৎসব চলেছে। নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থ নেয়নি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বিএনপির অভিযোগ সম্পর্কে দুপুরে বলেন, তাদেরকে মাঠ ছাড়লে চলবে না। শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।ওদিকে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, খুলনার চেয়েও খারাপ নির্বাচন হয়েছে।
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী