এই সংঘর্ষ বন দপ্তরের কাছে প্রত্যাশিতই ছিল। হাতির বাস জঙ্গলে।কিন্তু লোকালয়ে স্থানাভাব হতে থাকায় মানুষ ক্রমশ অরণ্য কেটে লোকালয় করে ফেলছে। জঙ্গলেই হাতির কেবল বাস নয়, তাঅরণ্যের অধিকার হারিয়ে গেলে হাতিরা তবে যাবে কোথায়? র খাদ্য আহরণেরও চারণভূমি। মাঝেমাঝেই হাতিরা নেমে আসছে লোকালয়ে। চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে এমন ঘটনা ঘটে গেল দু বার। প্রথম ঘটনায় খোদ শিলিগুড়ি শহরে উন্মত্ত জনতা ঢিল ছুঁড়তে ছুঁড়তে হাতিটিকে দিনভর তাড়া করে। হাতিটি অবশ্য আহত হয়েও পাল্টা আক্রমণ করে নি। কিন্তু দ্বিতীয় ঘটনায় হাতির আক্রমণে নিহত হলেন এক স্থানীয় অধিবাসী, হাতিকে সামলাতে এসে আহত হলেন চার বন কর্মী। ক্রুদ্ধ হাতি উল্টে দিল বন দপ্তরের গাড়ি। বনকর্তারা হাতিদের প্রতি সহানুভূতিশীল। মানুষ তাদের স্বাভাবিক চারণভূমি দখল করে নিচ্ছে বলেই খাবারের খোঁজে হাতিরা নেমে আসছে লোকালয়ে। খেয়ে নিচ্ছে ক্ষেতের ফসল, ভেঙে দিচ্ছে ঘরবাড়ি। বনকর্তাদের আশঙ্কা, মানুষের সঙ্গে হস্তিকুলের সংঘর্ষ ভবিষ্যতে বাড়বে ছাড়া কমবে না।গৌতম গুপ্তের রিপোর্ট: