দার্জিলিং পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের জন্য গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দাবি নিয়ে সব রাজনৈতিক দলই নির্দিষ্ট অবস্থান নিলেও বিজেপি যে কি চায়, তা স্পষ্ট নয়। পাহাড়ে দলের বিস্তারের জন্য গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করতেই হবে। আবার, পশ্চিমবঙ্গের বাকি সমতলে রাজ্যভাগের কথা তোলা মানে রাজনৈতিক আত্মহত্যা। বিভিন্ন বিজেপি নেতা নানা মুখে নানান কথা বলে চলেছেন। ২০০৯ সালে যশবন্ত সিং ও ২০১৪ সালে বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াকে জিতিয়ে আনতে পেরেছে মোর্চার সঙ্গে জোট বেঁধেই। এ বার মোর্চার দাবি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সমর্থন করুক বিজেপি। কেন্দ্রীয় সরকার নানান ভাবে চাপ দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে। কিন্তু পাহাড়ে মোর্চাকে খুশি রাখতে গেলে সমতলে বিজেপি কি বলবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে আবার মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভাল। রাজ্যকে ভাগ করে গোর্খাল্যান্ড হবে না, সমতলে এই অবস্থানের বিপরীতে দার্জিলিংয়ে মোর্চার মিছিলে পা মেলাচ্ছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মহা ফাঁপরে বিজেপি।