লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সা’আদ হারিরি বর্তমানে প্যারিসের এলিসি প্রাসাদে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল ম্যাক্রঁর সঙ্গে আলোচনা করছেন। লেবাননের অদ্ভূত এই রাজনৈতিক নাটকে হারিরিকে তাঁর ভূমিকার বিষয়ে একটি নিস্পত্তিতে পৌঁছুতে সাহায্য করতে ম্যাক্রঁ প্রস্তাব দিয়েছেন।
এ মাসে আরো আগের দিকে সৌদি টেলিভিশনে এক ঘোষণা দিয়ে হারিরি পদত্যাগের ঘোষণা দিলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সন্দেহের সুত্রপাত ঘটে। তবে আজ সকালে লেবাননের রাষ্ট্রপরিচালিত ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছ যে হারিরি লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওনকে টেলিফোন করে জানিয়েছেন যে লেবাননের স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে যোগ দিতে , তিনি আগামি সপ্তায় সেখানে ফিরে যাবেন।
এখনো পর্যন্ত এটা পরিস্কার নয় যে হারিরি এবং ম্যাক্রঁ আজ সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোন মন্তব্য রাখবেন কী না। ম্যাক্রঁ গতকাল সুইডেন থেকে জানান যে হারিরিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে স্বাগত জানানো হয়, যেহেতু তাঁর নিজের দেশই তাঁর পদত্যাগ মেনে নেয়নি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এর আগে এ ধরণের আঁচ অনুমান নাকচ করে দেন যে তিনি হারিরিকে সেখানে নির্বাসনে থাকার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে কেউ কেউ এ ব্যাপারে অতখানি নিশ্চিত নয়।
হারিরির এই প্যারিস সফর বস্তুতপক্ষে ৩৯ বছর বয়সী ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর জন্য এক ধরণের কুটনৈতিক অভুত্থান এবং তিনি যে বিশ্ব মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন তারই ইঙ্গিতবহ। আর এই অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য । গত সপ্তায় হারিরি সংকট যখন তুঙ্গে তখন মি ম্যাক্রঁ সৌদি আরব সফরে যান।