আর প্রায় ঘন্টা দুয়েকের কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ গোটা দেশের শহীদ মিনারগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে । মানুষের বিনম্র শ্রদ্ধায় , ভালবাসায় সকলেই স্মরণ করবেন ভাষা শহীদদের , যাঁদের হাত ধরে আমাদের স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে চলা এবং একাত্তরে স্বাধীনতা অর্জন। আজ সেই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে শুরু করছি আমাদের এই কল ইন শো হ্যালো ওয়াশিংটন। আপনাদের জিজ্ঞাসা আর আমাদের বিশেষজ্ঞ প্যানেলিস্টদের এই জবাবের অনুষ্ঠানে আজকের বিষয় বাংলাদেশে বাংলাভাষা চর্চা : প্রয়োগ ও অপপ্রয়োগ।
আজ আলোচনার এই প্যানেলে সরাসরি টেলিসম্মিলনী লাইনে বাংলাদেশ থেকে যোগ দিয়েছেন জাহা নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপিকা ড ফারজানা ইসলাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপিকা ড. কাবেরী গায়েন এবং জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আহমেদ রেজা।
একুশের সঙ্গে যেমন আমাদের আবেগের সম্পর্ক রয়েছে , তেমনি রয়েছে আমাদের যুক্তির সম্পর্কও। বাঙালির ভাষা আন্দোলনের যৌক্তিকতা ছিল বলেই , কালক্রমে ভাষা সচেতনতা বিশ্বকে নাড়া দিল এবং ২১শের স্মৃতি এখন ও হয়ে উঠলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস । এই দিনে আমাদের মূল্যায়ন করতে হবে যে আমাদের ভাষার প্রয়োগ কী সঠিক হচ্ছে , না কি সেই সঠিক প্রয়োগে আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। ভাষা নদীর মত বহমান , পরিবর্তনশীল এই কথাটা মেনে নিয়েও বলতে হয় যে ক্ষেত্র বিশেষে আমরা নদীতেও বাঁধ দিয়ে থাকি। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে ৫০ ‘এর সেই অদ্ভূত বাংলা যেমন উজিরে আজম হাওয়াই আড্ডায় নেমে সাহাফিদের বললেন .... যেখানে কোন বিশেষ্যপদই বাংলা নয়। এখন ইংরেজি কিংবা হিন্দির প্রভাবে আমরা সে দিকে যা্চ্ছি কীনা সেটাও ভেবে দেখা দরকার।