পশ্চিমি কুটনীতিকরা বলছেন যে তাঁরা এ ব্যাপারে আস্থাশীল যে সৌদি নের্তৃত্বাধীন বাহিনী এবং ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা এই চারবছর ব্যাপী রক্তক্ষয়ী লড়াই থামাতে তিরিশ দিনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি মেনে নেবে। আর তারা আশা করছেন যে যুদ্ধরত উপদলগুলো আগামি মাসে আলোচনার জন্য সুইডেনে বৈঠকে বসছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে অস্ত্র বিরতির আহ্বান জানিয়েছে। বিষয়টি ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে করা হয়েছে। এখন এ ব্যাপারে সতর্ক আশাবাদ দেখা দিয়েছে যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার কারণে এই মারাত্মক যুদ্ধের অবসান সম্ভব।
এই লড়াইয়ে দশ হাজারের ও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং খাদ্যাভাবে মমারা গেছে আরও পঞ্চাশ হাজার মানুষ।
কুটনীতিকরা বলছেন যে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক খাশোগজির হত্যার কারণে অস্ত্র বিরতির ব্যাপারে এই অগ্রগিত হয়েছে। কুটনীতিকরা এই সংঘাত বন্ধের জন্য আরও কড়া ভাবে চাপ দিচ্ছেন। ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী , জেরেমি হান্ট গত কাল বিবিসিকে বলেন, খাশোগজির মৃত্যু , সৌদি আরবের উপর চাপ প্রয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্রকে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন এখন আমরা এমন অবস্থানে আছি যে আমরা তাদেরকে যথার্থ কিছু করতে বলতে পারি।
তিনি বলেন এ ব্যাপারে আশাবাদি হবার সময় এখনো আসেনি কিন্তু এখন সুযোগ হয়েছে।