অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শরণার্থী আশ্রয় শিবির ‘ক্যালে জঙ্গল’ ভেঙ্গে দিয়েছে ফরাসি দাঙ্গা পুলিশ


শরণার্থীদের আশ্রয় শিবির হিসেবে খ্যাত ‘ক্যালে জঙ্গল’ ভেঙ্গে দিয়েছে ফরাসি দাঙ্গা পুলিশ। ৪৫০০ শরণার্থীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে নতুন আশ্রয় কেন্দ্রে। সোমবার ভোরে শরণার্থীদেরকে বাসে তোলা শুরু হয়। এই প্রক্রিয়া চলবে তিন দিন। যদিও গত রাতে পুলিশের সঙ্গে শরণার্থীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।

প্রায় এক দশক ধরে এই শরণার্থীরা জঙ্গলেই বসবাস করছিলেন। বলা হয়েছে, এই শরণার্থীরা ফ্রান্সে আশ্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে তাদেরকে আশ্রয়ের আবেদন করতে হবে। অন্যথায়, তাদেরকে যার যার দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ক্যালে জঙ্গলের একজন শরণার্থী সুদানের ২৬ বছর বয়সী আহমেদ। তিনি সাত মাস কঠিন লড়াইয়ের পর ফ্রান্সের এই জঙ্গলে পৌঁছেছিলেন। তিনি বলেন, এখান থেকে চলে যাওয়াই ভালো। কারণ এ জঙ্গলে সীমাহীন সমস্যা।

ওদিকে, মাঠ পর্যায়ে যেসব স্বেচ্ছাসেবক ও চ্যারিটির লোকজন কাজ করছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। শরণার্থীদের মধ্যে অনুভূতি অবশ্য মিশ্র। তাদের মধ্যে যারা ফ্রান্সে আশ্রয় চেয়েছেন, তারা স্বস্তি বোধ করছেন। অন্যদিকে, যারা ফ্রান্স থেকে পর্যায়ক্রমে বৃটেনে যাওয়ার আশা করছিলেন, তারা এই ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র না যাওয়ার পক্ষে।

এর আগে, রিফিউজি রাইটস ডাটা প্রজেক্ট এক জনমত জরিপ চালায় এই ক্যালে জঙ্গলে। তাতে বেশির ভাগ শরণার্থী ফ্রান্স সরকারের তৈরি করা অন্যান্য ক্যাম্পে স্থানান্তরের বিপক্ষেই মত দিয়েছিলেন। পুলিশের দ্বারা নির্যাতন ও নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়ার কারণে ফ্রান্স সরকারের প্রতি তাদের আস্থা নেই বলে জানান।

এদিকে, বৃটেন তার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে, যাতে অনুমতি ছাড়া কোন শরণার্থী প্রবেশ করতে না পারে। লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।

please wait

No media source currently available

0:00 0:00:58 0:00

XS
SM
MD
LG