ভারতে অন্ধপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে নাগাদ একটি পলিমার কারখানায় হঠাৎ বিস্ফোরণে বিষাক্ত গ্যাস বিষাক্ত গ্যাস লিক হওয়ার পরে শনিবার, ৯ই মে ক্ষুব্ধ প্রতিবাদকারীরা রাসায়নিক প্লান্টে প্রবেশ করে।
বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন, অনেকে বাড়ির মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন, কেউ সদ্য ঘুম ভেঙে বাইরে আসার চেষ্টা করছেন এবং যাঁরা কোনও কারণে বাইরে ছিলেন তাঁরা রাস্তার ওপরেই লুটিয়ে পড়েন। ভারতের পূর্ব উপকূলের এই রাসায়নিক কারখানার ভোর হওয়ার আগেই বিষাক্ত গ্যাসের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ইঞ্জিনিয়াররা শুক্রবারে লড়াই করেছিলেন, একদিন পরই রাস্তায় অচেতন অবস্থায় ১২ জন নিহত এবং স্থানীয় লোকজন অসুস্থ হয়ে ছিটকে পড়ে।
যদিও মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কার চেয়ে কম ছিল, কিন্তু দুর্ঘটনাটি শিল্পাঞ্চলীয় বন্দর শহর বিশাখাপত্তনমের বাইরে শত শত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষদের দেখে ভোপালের স্মৃতির উদ্রেক করেছিল, যেখানে ১৯৮৪ সালে একটি গ্যাস ফাঁস হয়ে প্রায় ৩৫০০ মানুষ মারা গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার LG Chem সংস্থার মালিকানাধীন এই প্লান্টের অর্থাৎ রাসায়নিক কারখানার চারপাশে অনেকটা জায়গা আরও খালি করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দশটি এলাকার আরও শতাধিক মানুষকে সতর্কতা হিসাবে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা স্বরূপ রানী বলেন "পরিস্থিতি এখন আরও ভাল, তবে আমরা এটি পুরোপুরি স্বাভাবিক বলে বলতে পারি না। ট্যাঙ্কগুলিতে তাপমাত্রা ১২০ ডিগ্রি কমিয়ে আনা হয়েছে, তবে আমাদের আরও 25 ডিগ্রি কমিয়ে আনতে হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মূল সংস্থা LG Chem শুক্রবার বলে যে, ট্যাঙ্কগুলি শীতল রাখতে "জল যোগ করার মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।"