নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে করোনায় সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৬৮৪ জন। গত আট মাসে এটাই সর্বনিম্ন। সবমিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জন। একই সময়ে মারা গেছেন আরও ২৩ জন। এ নিয়ে মৃত্যু দাঁড়ালো সাত হাজার ৫৯৯ জনে। বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ই মার্চ। বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা আগাগোড়াই বলে আসছেন, টেস্ট কম হলে, শনাক্তও কম হবে। আর সেটাই হচ্ছে। তার মানে এটা নয় বাংলাদেশ এখনি করোনামুক্ত হতে চলেছে। মৃত্যুর তথ্য নিয়েও নানা বিভ্রান্তি রয়েছে।
ওদিকে ঘুম নিয়ে বিশ্বব্যাপী মানুষের যে সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশ এর বাইরে নয়। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না। বিশেষ করে যারা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাদের মধ্যেই এর প্রভাব বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ঘুমের সমস্যা তৈরি করে। বাংলাদেশি ঘুম বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনি লাল আইচ -এর মতে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসতন্ত্র ও মস্তিষ্কের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে ঘুমের ওপর। শুধু তাই নয় ভয়, মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। ইউরোপীয় সাময়িকী জার্নাল অব স্লিপ রিসার্সের সম্প্রতি এক জরিপ বলছে, মহামারির কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। এর আগে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষের সমস্যা ছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরে বন্দী থাকা ও মানসিক চাপের কারণে মানুষের ঘুমে বিঘ্ন ঘটছে। অত্যাধিক টেলিভিশন দেখা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ডুবে থাকার কারণে এই সমস্যা দিন দিন প্রকট হচ্ছে।