বিজেপিতে প্রবীণ নেতা ও নেত্রীদের বিদায় পর্বে আজ সাম্প্রতিকতম নাম হলো বিদায়ী লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর লোকসভা কেন্দ্র থেকে আট বার জয়ী হয়ে আসা বিজেপি সাংসদ তিনি। এ বারেও জয় নিশ্চিত, তবু ইন্দোরে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে টালবাহানা চলছিল। এদিকে ভোটের দিন এগিয়ে আসছে। শেষপর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি চরম বিরক্তি প্রকাশ করে সুমিত্রা মহাজন আজ ইন্দোরে সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিলেন, আর তিনি দলের কাঁটা হয়ে থাকতে চান না, তাই সম্ভাব্য প্রার্থী পদ থেকে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। এ বার বিজেপি তাঁর কেন্দ্রে যাকে খুশি প্রার্থী করুক।
বিজেপি-র অধিকাংশ প্রবীণ নেতাদের মধ্যে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহের প্রতি অন্ধ আনুগত্য দেখা যায় না বলে এবার দল ঠিক করেছে, ৭৫ বছরের বেশি বয়েসের কাউকে ভোটে টিকিট দেওয়া হবে না। আসছে শুক্রবার মহাজনের বয়েস হবে ৭৬। এর মধ্যে বেশ কিছু রথী মহারথীকে এই কারণ দেখিয়েই বিদায় জানানো হয়েছে। বিগত আট বার জয়ী সাংসদ এল কে আডবাণীকে বাদ দিয়ে গুজরাতের গান্ধীনগর থেকে এবার ভোটে দাঁড়িয়েছেন অমিত শাহ্। উত্তরপ্রদেশের কানপুর কেন্দ্রের সাংসদ মূরলী মনোহর যোশীকেও প্রার্থী করা হয়নি। ক্ষুব্ধ আডবাণী মোদী-শাহ্ জুটিকে এক হাত নিয়েছেন গত কালই একটি ব্লগ লিখে। তাতে তিনি বলেছেন, বিজেপি-র মতের বিরোধীদের আমরা বিপক্ষ মনে করতাম। এখনকার মতো তাদের দেশদ্রোহী বলে দাগিয়ে দিতাম না। বিজেপির নীতি ছিল, আগে দেশ, তার পরে দল, সবশেষে আমি। এখন দেখি ঠিক উল্টোটা।