বালাকোটে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সার্জিকাল স্ট্রাইকে জঙ্গি মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিতর্কের জেরে বাহিনীর প্রধান জানিয়ে দিয়েছেন মৃতদেহ গোনা তাঁদের কাজ নয়।
গত মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ ই মহম্মদের জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান হানার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অজানা সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, কম করে সাড়ে তিনশো জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে। কিন্তু আর একটা মঙ্গলবার আসার আগেই সাংবাদিক বৈঠক করে এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া জানিয়ে দিলেন, বালাকোটে কতজন মারা গিয়েছে বায়ু সেনা তা গোনেনি। তাঁর কথায়, “আমরা শুধু টার্গেট করেছিলাম এবং ওই টার্গেটে সফলভাবে আঘাত হেনেছি। কিন্তু কতজন সেখানে মারা গিয়েছে তা গোনা বায়ুসেনার কাজ নয়। এ ব্যাপারে যা বলার সরকার বলবে।"
বালাকোটে মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রশ্ন তুলেছিলেন, আদৌ বোমাটা ঠিক জায়গায় পড়েছিল কি না। মমতা বলেছিলেন, আন্তর্জাতিক বহু সংবাদ মাধ্যমের কেউ বলছে একজন মারা গিয়েছে আবার কেউ বলছে একজনও নয়। তাহলে কীসের ভিত্তিতে ৩০০, ৩৫০ সংখ্যাটা বলা হচ্ছে?
আজ এয়ার চিফ মার্শাল সাফ বলেন, বায়ুসেনা টার্গেটে আঘাত করতে সফল হয়েছিল বলেই পাকিস্তান পরের দিন হামলা করার চেষ্টা করেছিল।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই দেশের রাজনীতি সরগরম। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের পর তা আরও বাড়ে। বিজেপি বিরোধীদের উদ্দেশে এবং বিরোধীরা বিজেপি-র বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলতে শুরু করে। এর মধ্যেই রবিবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ আহমেদাবাদের জনসভায় বলেন, বালাকোটে কম করে ২৫০ জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে। কিন্তু এ দিন এয়ার চিফ মার্শাল সব সংখ্যা নস্যাৎ করে সরকারের কোর্টেই বল ঠেলে দিলেন।