অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই লকডাউন


ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে, আজ পশ্চিমবঙ্গও তাতে যোগ দিল। গতকাল বিকেলে বলা হয়েছিল, কলকাতা ও সংলগ্ন পুরএলাকাগুলো এবং প্রতিটি জেলার সদর শহর ২৭শে মার্চ পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। কিন্তু আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তড়িঘড়ি এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দেন, করোনা ভাইরাস যেরকম দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে তার মোকাবিলাও দ্রুত করতে হবে।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা থেকে আগামী ৩১শে মার্চ পর্যন্ত কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে লকডাউন থাকবে। চালু থাকবে শুধু মাত্র অত্যাবশ্যক পরিষেবা ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে পুরোপুরি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আলাদা করে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। ওখানে এখন অন্য যে রোগীরা রয়েছেন তাঁদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল শুধু বেলেঘাটার আই ডি হাসপাতালে। চিকিৎসক ও নার্সরা যাতে নিশ্চিন্তে রোগীদের চিকিৎসা করতে পারেন, তার জন্য প্রতিটি হাসপাতালের কাছাকাছি হোটেলে সরকার ঘরভাড়া নিয়ে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের নিয়মকানুন কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে। এই সময়ের মধ্যে সকলে ঘরের ভিতরে থাকবেন, অন্য রাজ্য থেকে, বিশেষ করে বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা নিজেদের ও পরিবারের ভালোর জন্য আলাদা থাকুন।

অন্যদিকে, দিল্লির শাহীনবাগে গত ১০১ দিন ধরে চলা সিএএ বিরোধী অবস্থান বিক্ষোভ আজ সকালে পুলিশ গিয়ে উঠিয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে ফাঁকা করে দিয়েছে আরো দুটি জায়গার অবস্থান। লখনৌতে ঘন্টা ঘরের চত্বরে যে বিক্ষোভ চলছিল, করোনার কারণে কাল সন্ধ্যায় সেই জায়গা খালি করে বিক্ষোভকারীরা চলে গিয়েছেন। বলে গিয়েছেন, আবার আসব ফিরে।
কলকাতা থেকে দীপংকর চক্রবর্তী'র রিপোর্ট।
XS
SM
MD
LG