অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে লকডাউনের সপ্তম দিন: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ১২৫১ জন


ভারতে লকডাউন আজ ৭ দিনে পড়লো। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা একলাফে ২২৭টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫১। এক দিনে সবচেয়ে বেশি। যদিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০২ জন, তবে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের।

এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় তাবলীগি জামাতের মার্কাজে এ মাসে লকডাউন চলাকালেই মুসলমানদের এক ধর্মীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তাতে ভারতের নানা রাজ্যের এবং ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিনস, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ইত্যাদি দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। গতকাল সোমবারেও সেখানে হাজারের বেশি মানুষ ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফিরে ন'জন ভারতীয় এবং একজন ফিলিপিনো করোনার কবলে পড়ে মারা যান। তাঁদের ৬ জনই তেলেঙ্গানার বাসিন্দা, আর এক জন করে তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও কাশ্মীরের। এই খবর পেয়ে দিল্লি সরকার ঐ মসজিদ থেকে সকলকে বের করে আনে। তাঁদের ৭০০ জনকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়, করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৩৩৪ জনকে। এখন পর্যন্ত ২৪ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলেছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল বলেছেন, লকডাউনের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশিকা ভেঙে এই বিশাল সমাবেশের আয়োজন করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ গর্হিত অপরাধ করেছেন। দিল্লি পুলিশ আজ ঐ আয়োজকদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট আজ কেন্দ্রীয় সরকারকে পরিযায়ী শ্রমিকদের জীবন ধারণের জন্য সব রকম সাহায্য করতে নির্দেশ দিয়েছে। প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেছেন, লকডাউনের ফলে ঘরমুখী শ্রমিকদের যেখানে আটকে দেওয়া হয়েছে, সেখানে তাঁদের খাদ্য যোগানো ও স্বাস্থ্যরক্ষার দায়িত্ব সরকারের। এছাড়া আতঙ্কিত শ্রমিকদের মানসিক চাপ কমাতে সব ধর্মের কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থাও করা দরকার।

XS
SM
MD
LG