ভারতে আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত কিছু স্পেশাল ট্রেন ছাড়া আর কোন ট্রেন চলবে না। আজ রেলওয়ে মন্ত্রক এই ঘোষণা করে জানিয়েছে, ৩০শে জুন পর্যন্ত প্রতিটি ট্রেন ক্যানসেল করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের শুরু, অর্থাৎ গত ২৫শে মে'র আগে যাঁরা ৩০শে জুন পর্যন্ত ভ্রমণের জন্য কোন ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন, ট্রেনের সঙ্গে সঙ্গে সেই টিকিটগুলোও ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে। বলা হয়েছে, যাত্রীদের সবাইকে ঐসব টিকিটের টাকা পুরোপুরি ফেরত দেওয়া হবে। কী ভাবে ফেরত দেওয়া হবে সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানানো না হলেও যাঁরা অনলাইনে টিকিট কেটেছেন তাঁদের জন্য এক রকম ব্যবস্থা এবং যাঁরা রেলের কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেটেছেন তাঁদের জন্য আর এক রকম ব্যবস্থা হবে ধরেই নেওয়া যাচ্ছে। তবে আপাতত যাত্রীদের জন্য এটা খুব স্বস্তির বিষয়। ট্রেন না চললে তাঁরা আগে থেকে কাটা টিকিটের টাকা কী ভাবে ফেরত পাবেন ভেবে চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন, সেই চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছে।
রেলমন্ত্রক জানিয়েছে যে বিশেষ ট্রেন বলতে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলোর কথা বলা হচ্ছে যেগুলো এক রাজ্য থেকে আর এক রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যাবে। এছাড়া যে ১৫ জোড়া বিশেষ ট্রেন রাজধানী দিল্লি থেকে অন্যান্য রাজ্যে চালানো হচ্ছে সেইগুলিও এই ঘোষণার আওতায় পড়বে না। এখনো দেশের ভেতরে বিমান চলাচল কবে থেকে হবে সে সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি, কারণ বিমানের ব্যাপারটা আরো গভীরভাবে চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আজ জানিয়েছে, সোমবার থেকে কলকাতায় হলুদ ট্যাক্সি চলাচল শুরু করবে। তৃতীয় দফার লকডাউন রবিবার ১৭ই মে শেষ হচ্ছে এবং সোমবার ১৮ তারিখ থেকে চতুর্থ দফার লকডাউন শুরু হচ্ছে। সেই দিন থেকেই মিটার ট্যাক্সি চালু হবে। তবে কী ভাবে তাতে যাত্রীরা উঠবেন বা কোথা থেকে কোথায় কী ভাবে যাওয়া হবে সে সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানানো হয়নি। এছাড়া রাজ্যের বাস সিন্ডিকেট বা বেসরকারি বাস পরিবহনের মালিকেরা বলেছেন যে, বাস চালাতে তাঁরা রাজি আছেন, কিন্তু বাসের ভাড়া অনেক বেশি বাড়িয়ে দিতে হবে, তা না হলে তাঁরা পারবেন না।
এখন অবধি নীতিগতভাবে ঠিক হয়েছে যে সরকারি বাসের ভাড়া একই রাখা হলেও অর্থাৎ প্রথম চার কিলোমিটার ৭ টাকা, তার পরে দু'টাকা করে বৃদ্ধি, কিন্তু বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে সেটি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে মালিকদের ওপর। তাঁরা যে রকম ভাড়া ঠিক করবেন সেই ভাবেই ভাড়া নিতে পারবেন। যদিও এর পেছনে অনেক কিন্তু থেকে যাচ্ছে একই দূরত্বে সরকারি ও বেসরকারি বাসের ভাড়া দু'রকম হলে এবং সরকারি বাসের ভাড়া যদি অনেক কম হয় তাহলে লোকে বেসরকারি বাসে উঠবেন কিনা। সে ব্যাপারে এখনো এর বেশি কিছু বলা হয়নি। এখনো আলোচনা চলছে।