ভারত সরকার আফগানিস্তান পরিস্থিতি ও সেখানে ভারতের নীতি স্পষ্ট করে জানানোর জন্য সারা দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের একটি বৈঠকে ডেকেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশে ওই বৈঠকে আফগানিস্তানের দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি ও সেখান থেকে ভারতের নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান সম্পর্কে সরকারি অবস্থান জানাবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নেতাদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং বৈঠকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে। তিনি জানিয়েছেন, নতুন দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ২৬শে অগাস্ট বেলা ১১টার সময় এই বৈঠক হবে।
বস্তুত গত ১৫ই আগস্ট তালিবান আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখল করার পর থেকেই সেখান থেকে ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করে আনার কাজ চলছে। এর মধ্যে দফায় দফায় অনেক জনকেই সরিয়ে আনা হয়েছে। গতকাল রবিবার ৩৯২ জনকে উদ্ধার করে আনা হয়, যাঁদের মধ্যে দু'জন আফগান সাংসদও রয়েছেন। আজ সকালে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ১৪৬ জন ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওঁরা গত কয়েকদিন ধরে নেটো ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমানে ওখানে গিয়ে ভারতে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভারতের নাগরিক ছাড়াও যে সব আফগান ভারতের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদেরও ভারতে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেরকম কয়েকজনকে নিয়ে আসাও হয়েছে। তবে দু'জন আফগান সাংসদও তার মধ্যে থাকায় আফগানিস্তানের নাগরিক শিখ ও হিন্দুদের মধ্যে প্রবল অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁরা বলেছেন, "আমাদের ফেলে রেখে ওঁরা নিজেরা কেমন করে চলে গেলেন? এঁদেরই আমরা আমাদের প্রতিনিধি করে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠিয়েছিলাম!"
যুক্তরাষ্ট্রের শিখদের একটি সংগঠন 'ইউনাইটেড শিখ' বলেছে, কাবুলের 'কার্তে পারওয়ান' গুরদোয়ারায় ২৬০ জনেরও বেশি শিখ আশ্রয় নিয়েছেন, যাঁরা আফগানিস্তানের নাগরিক, কিন্তু তাঁরা বিপন্ন বোধ করছেন। এঁদের মধ্যে অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন, মহিলা আছেন, সদ্যোজাত তিনটিসহ ৫০টি শিশুও রয়েছে।
ভারত এখন দিনে দু'টো করে বিমান কাবুল বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার অনুমতি পেয়েছে। উদ্ধার অভিযান আরও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে।