প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার ভারতে চারদিনের এক দ্বিপাক্ষিক সফরে শুক্রবার দিল্লী যাচ্ছেন। ৭ বছর আগে অর্থাৎ ২০১০ সালের ১০ থেকে ১৩ জানুয়ারি তিনি ভারত সফর করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা সফর করেন ২০১৫ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকে দেশী-বিদেশী বিশ্লেষকরা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন বিষয়ে ৩৩টি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। তবে তিস্তা নদীর পানি বন্টন চুক্তির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর সাথে দিল্লীতে রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত হবে বলে জানা গেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি, না সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে- তা ঢাকায় কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলছেন না। তবে দিল্লীতে ঢাকার বেসরকারী একটি টিভি চ্যানেলের একজন প্রতিনিধিকে ভারতেবাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা খাতে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের কথা জানিয়েছেন। তবে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা খাতের সরঞ্জামাদি যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ ও ভাগাভাগির বিষয়ে কোনো চুক্তির আদৌ কোনো সম্ভাবনা নেই।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।