ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক আজ শনিবার জানিয়েছে যে, গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে চার লক্ষ এক হাজারেরও বেশি লোক কভিডে সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন প্রায় ৪,২০০ জন। জন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মারাত্মক রোগের সংখ্যাতাত্বিক হিসেব এর চেয়েও বেশি হতে পারে এবং মে মাস শেষ হবার আগে পর্যন্ত এই সংখ্যা বাড়তেই থাকতে পারে।
ভারতের প্রধান বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধি গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে সেখানে জাতীয় লক ডাউন কার্যকর করা, টীকা অভিযান তরান্বিত করা এবং এই জীবানু কি ভাবে রূপান্তরিত হচ্ছে তার দিকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। গান্ধি ঐ চিঠিতে আরও লেখেন, “আমাদের দেশে এই জীবাণু লাগামহীন ভাবে বাড়তে দেওয়া কেবল আমাদের জন্যই নয়, অবশিষ্ট বিশ্বের জন্যও ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে"। ব্রিটেন ভারত থেকে আসা কভিডের ঐ প্রকরণকে উদ্বেগজনক প্রকরণ বলে ঘোষণা করেছে। সংবাদে জানা গেছে, পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন সাময়িক ভাবে টীকার স্বত্ত্বাধিকার স্থগিত রাখাকে তিনি সমর্থন করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে উদ্ভাবিত কভিড ১৯ এর একটি টীকার জরুরি ভিত্তিতে বিশ্বব্যাপী ব্যবহার অনুমোদন করেছে। ওয়াশিংটনে কভিড ১৯ ‘এর প্রতিরোধকারী টিম গতকাল জানিযেছে তারা ৪ঠা জুলাই নাগাদ ১৬ কোটি লোকের টিকা দান বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে নতুন লক্ষ্য স্থির করেছেন, তার দিকেই নজর দিচ্ছে।
জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের হিসেব অনুযায়ী এই মহামারিতে বিশ্ব জুড়ে ৩২ লক্ষেরও বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বাধিক সংখ্যক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। এই সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮১ হাজারের কাছাকাছি। তার পরই রয়েছে ব্রাজিল, সেখানে মারা গেছেন ৪ লক্ষ ১৯ হাজার মানুষ, তৃতীয় স্থানে আছে ভারত সেখানে মৃতের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৮ হাজার। গোটা বিশ্বে মোট ১৫ কোটি ৭০ লক্ষ লোক সংক্রমিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ, ভারতে ২ কোটি ১৮ লক্ষ এবং ব্রাজিলে দেড় কোটি লোক সংক্রমিত হয়েছে।