ভারতেও পালিত হয়েছে ঈদুল ফিতর৷ পশ্চিমবঙ্গে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ উৎসবে সামিল হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঈদ উপলক্ষ্যে আজ সকালে কলকাতার রেড রোডে ঈদ নামাজে অংশ নেন মুসলিম সম্প্রদায়ের অজস্র মানুষ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও৷ দেশজুড়ে অসহিষ্ণুতার বাতাবরণে সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট জনেরা।
নামাজ শেষে চলে শুভেচ্ছা বিনিময়। একই সাথে ঈদুল ফিতরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, লোকসভার অধ্যক্ষ সুমিত্রা মহাজন, কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রাষ্ট্রপতি ট্যুইটারে লিখেছেন, এই উৎসব খুশি, শান্তি ও উন্নতি বয়ে আনুক। সবাই যেন নিজেদের মানবিকতার জন্য নিজেদের সমর্পণ করতে পারেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, এই শুভ দিনটি যেন সমাজে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় করে। তিনি আরো বলেন, এই উৎসব খুশি ছড়িয়ে দিক এবং দেশ এগিয়ে যাক। কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।
এদিকে, ভারতের সবচেয়ে বড় মুসলিম সংগঠন জামিয়াত-উলমা-হিন্দ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার কথা মনে রেখে বাতিল করে দিয়েছে ঈদ মিলান উৎসব। গত দু'দশক ধরে রমজান মাসের শেষে সব ধর্ম থেকে নানা মানুষকে নিমন্ত্রণ করা হতো।
সংস্থার সচিব মৌলানা মেহমুদ আদানি বলেন, যা পরিস্থিতি, সেখানে মিলনোৎসব আর মানায় না। কয়েক দিন আগেই অকারণ উত্তেজনার পরিণামে ট্রেনের কামরায় খুন হয়ে যায় ১৫ বছরের জুনেদ খান। হরিয়ানায় তার গ্রামের মানুষেরা ঈদের প্রার্থনায় হাতে কালো কাপড় বেঁধে শোক জ্ঞাপন করেন।
পাশাপাশি ভাল খবর হল, দার্জিলিঙে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সেখানকার ১৬ হাজার মুসলিম মানুষকে ঈদ পালনের সুযোগ দিতে সোমবার ১২ ঘণ্টার জন্য বনধ শিথিল করে।