ফসলের ন্যূনতম মূল্য পাওয়া নিশ্চিতের দাবীতে সোমবার ভারতের লখনউতে মহাপঞ্চায়েত করলেন কৃষকরা। একইসঙ্গে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি স্থির হবে চলতি সপ্তাহের শেষে।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেন। কৃষকরা তখনই বলেছিলেন, শুধু কৃষি আইন বাতিল করলে চলবে না, ফসলের ন্যূনতম মূল্য পাওয়ার বিষয়টিকেও নিশ্চিত করতে হবে। সোমবার সেই দাবিতেই লখনউতে মহাপঞ্চায়েত করলেন কৃষকরা।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত বলেন, “ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের দাবী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে এই দাবী মানাতেই সোমবার শাহজাহানপুর থেকে লখনউতে এসেছিলেন এক কৃষক। তিনি বলেন, “আমরা যখন মান্ডিতে ফসল নিয়ে যাই, অনেক অফিসার আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তারা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেন না।” সেজন্যই তিনি চান, আইন করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।
কৃষক নেতারা বলেন, লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে তারা খুশি নন।
ওদিকে লখনউ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নিজের শহর গোরখপুরে জনসভা করেন বিজেপির সভাপতি জে পি নড্ডা। আর কয়েক মাস পরেই ভোট হবে উত্তরপ্রদেশে। নড্ডা বলেন, "কিষাণ আন্দোলন নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। কিন্তু একথা ভুললে চলবে না যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের জন্য যা করেছেন, কোনও কৃষক নেতা তা করেননি।"
উন্নাওয়ের সংসদ সদস্য সাক্ষী মহারাজ বলেন, কৃষি বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের পরে বিরোধীরা একবাক্যে বলেছে, কৃষক আন্দোলনের কাছে পরাজয় স্বীকার করল মোদী সরকার। গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের মহোবায় এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী পালটা আক্রমণ করেন বিরোধীদের। তার বক্তব্য, "কোনও কোনও পার্টির রাজনীতির মূল কথাই হল, কৃষকদের সমস্যার মধ্যে আটকে রাখা।" রাজনীতিতে ‘পরিবারতন্ত্রেরও’ সমালোচনা করেন মোদী। তিনি বলেন, "যে দলগুলি কোনও পরিবারের কুক্ষিগত হয়ে আছে, তারা কৃষকদের সমস্যার সমাধান করতে চায় না।"