পশ্চিমবঙ্গে গত শনিবার থেকে টানা বৃষ্টির পর আজ পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও হালকা বৃষ্টি ও মেঘে আচ্ছন্ন গোটা রাজ্য। একই সাথে কয়েক দিনের প্রবল বর্ষনে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা বন্যায় বিপর্যস্ত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন।
কাঁসাই নদীর জলস্তর বাড়ায় পাঁশকুড়া এলাকার দক্ষিণ গোপালপুর, জয়কৃষ্ণপুর, হাউর, ডোমঘাট, আমদানসহ একাধিক গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু বাঁধের ওপর।
এদিকে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন। সতর্ক করা হয়েছে থানাগুলিকে। একই চিত্র রাজ্যের বীরভূম জেলারও। এই জেলায় ভারী বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বেড়েছে। লাভপুরে লাঘাটা সেতুতে যান চলাচল শুরু হলেও, লাভপুর-কাটোয়া রাজ্য সড়কের ওপর হাঁটুসমান জল। খয়রাশোলের পাঁচরা এলাকায় ষাট নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল। পাশাপাশি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় হুগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। আজ সকালেই আরামবাগের জুবিলি পার্ক এলাকায় দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। এর ফলে আরামবাগ শহরে জল ঢোকার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পুরুলিয়া জেলায় বৃষ্টি থামলেও, জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। অধিকাংশ জায়গায় সেতুর ওপর দিয়ে বইছে জল। মুর্শিদাবাদ জেলাতেও দ্বারকা নদীর জলস্তর বাড়ায় কান্দি ব্লকের কুঠিরপাড়া গ্রাম জলের তলায়। জলবন্দি গ্রামের পাঁচশোর বেশি মানুষ। কৃষিজমিতে জল। বন্ধ স্কুল। প্রায় এক কোমর জল ঠেলে কান্দি-বহরমপুর রাজ্য সড়কে যাতায়াত করতে হচ্ছে কুঠিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। একই চিত্র রাজ্যের অপর দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার। এই দুই জেলারই বিভিন্ন এলাকা প্রবল বর্ষনে জলমগ্ন। সাধারন মানুষের নাজেহাল অবস্থা। কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।