অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তিনটি রাজ্যকে বন্যাকবলিত বলে চিহ্নিত করেছে‌ ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার


পশ্চিমবঙ্গ, অসম ও বিহার, ভারতের এই তিনটে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার বন্যাকবলিত বলে চিহ্নিত করেছে‌। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী এই তিনটি রাজ্যের মধ্যে আজ সকাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে, ১৫১ জনের। অসমে বন্যা বা তার থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৩। কাজিরাঙ্গা অভয়ারণ্যে জলে ডুুুবে বেশ কয়েকটি গন্ডার সহ ১১১টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে।বিহারের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। পশ্চিমবঙ্গের ২৩টি জেলার ১ লক্ষ ৭০ হাজার মানুষ কোনও না কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আজকে বীরভূমের সাঁইথিয়ায় ময়ূরাক্ষী নদীর জল অনেকটা উপরে উঠে ফেরিঘাট প্লাবিত করে দিয়েছে। ফলে স্থানীয় অধিবাসীদের নদীর একদিক থেকে অন্যদিকে যাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ ভারত সরকারকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছে, করোনা কালে ভারতের এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় যদি কোনও দরকার হয়, জাতিসংঘ সাহায্য করতে প্রস্তুত।

ভারতের পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। এতদিন ধরে অসমে বন্যা পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে চলছিল। তাতে আরও বেশি আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর। বলেছে, পরিস্থিতির আরও অবনতির আশঙ্কা আছে, কারণ উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি হয়েই চলেছে, যার ফলে অসম ও মেঘালয়ের বহু জায়গা প্লাবিত হয়ে গিয়েছে। এবং এদিককার জল বাংলাদেশের দিকেও অনেকখানি অংশ ভাসিয়ে দিয়েছে। গুয়াহাটি শহরের আশেপাশে ব্রহ্মপুত্র বেশ কিছুদিন ধরেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছিল। এখন সেটার এমন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে অসমের রাজধানী শহরের ছয়-সাতটি অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে যে সব দিকে সাধারনত প্রায় প্রতি বর্ষায় বন্যা হয়ে থাকে, এবার সেগুলোর সঙ্গে আরও কিছু জায়গা জুড়েছে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার কোচবিহার ও পূর্ব ও পশ্চিম দিনাজপুর বন্যায় যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে মালদহ, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে বেশ কিছু জায়গা বানভাসি। আর বীরভূমে নদীর জল এতটা বেড়ে যাওয়ায় সরকার রীতিমতো উদ্বিগ্ন বোধ করছে। আগামী কয়েক ঘন্টা যদি আর জোর বৃষ্টি না হয় তাহলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হবে আশা করা যায়।

সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG