তৃণমূলের কোন কোন সাংসদকে টিকিট দেওয়া হবে আর কাদের বাদ দেওয়া হবে, তা নিয়ে ওই বৈঠকে আলোচনার পরেই লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে খবর। ঠিক তার আগের দিন আজ বিকেলে মমতা কয়েক জন সাংসদকে নবান্নে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ, অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, ঝাড়গ্রামের সাংসদ, ডাক্তার উমা সোরেন এবং আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, দলনেত্রী এবার যাঁদের টিকিট দেবেন না ঠিক করেছেন, এঁরা তিন জন তার অন্যতম। বস্তুত, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মমতা এমন অনেককেই প্রার্থী করে জিতিয়ে এনেছিলেন যাঁদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছিল না বললেই হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরে রাজ্যের পরিস্থিতি অনেক বদলে গিয়েছে। ঝাড়গ্রাম অঞ্চলে বিজেপি এখন এতটাই শক্তিশালী যে পঞ্চায়েত ভোটে বহু জায়গায় তারা তৃণমূলকে ঢুকতেই দেয়নি। কাজেই সেখানে একজন পোড় খাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়ে আসা দরকার। মেদিনীপুরও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র, যা সন্ধ্যা রায়ের মতো অনভিজ্ঞ কেউ সামলাতে পারছেন না। আরামবাগের মানুষের মধ্যেও সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সম্পর্কে ক্ষোভ রয়েছে, কারণ দরকারের সময় তাঁর দেখা মেলে না। এঁরা ছাড়াও বেশ কয়েকজনের বাদ পড়ার কথা। তবে চূড়ান্ত তালিকার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী কাল পর্যন্ত।