আলাদা রাজ্যের দাবী দাওয়া আদায়েবিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচীরনামে জঙ্গিপনা দেখাল পাহাড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। আজ উত্তর বঙ্গের পাহাড়ে পশ্চিমবঙ্গরাজ্য মন্ত্রিসভার ঘোষিত প্রস্তাবিত বৈঠক কর্মসূচীর মধ্যেই মোর্চার আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ পাহাড়। অশান্ত দার্জিলিং। পুলিশকে লক্ষ্য করে দফায় দফায় ইটবৃষ্টি, পুলিশের গাড়িতে আগুন। পরিসস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের পাল্টা লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস। পাল্টা বনধের ডাকগোর্খা জন মুক্তি মোর্চার। উল্লেখ করা যেতে পারে প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর পর আজ পাহাড়ে বৈঠক করে রাজ্য মন্ত্রিসভা। দুপুরে দার্জিলিং রাজভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ রাজ্যের অধিকাংশ মন্ত্রী। ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বৈঠকস্থল থেকে কয়েকশো মিটার দূরেই ছিল মোর্চার কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য যখন পাহাড়ের উন্নয়ন, তখন মোর্চার দাবি, আলাদা রাজ্য। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ হতেই পরিস্থিতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মোর্চা সমর্থকরা। রাজ্য সরকার-বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করেন তাঁরা।
পুলিশ বাধা দিলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। পুলিশের চারটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা। পুলিশের বারোটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় মোর্চা সমর্থকরা।মোর্চার জঙ্গি আন্দোলনের মুখে পড়ে পিছু হঠে পুলিশ। এরপর পরিস্থিতি মোকাবিলায় লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পাহাড়। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক।মোর্চার এ ধরনের বিক্ষোভের নিন্দা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন কোনো ইস্যু নেই তাই এত ধ্বংসাত্বক আচরণ। পাহাড়ের জন্য ভালো কাজ কেউ আটকাতে পারবে না।এরপরই দার্জিলিংয়ের রাজভবনে জরুরি বৈঠকে ডাকেনমুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীকে ডাকলও রাজ্য প্রশাসন।এদিকে দার্জিলিং জুড়ে তাণ্ডব চালানোর পর মোর্চার অনির্দিষ্টকালের বনধ ডাকায় বেড়াতে গিয়ে পাহাড়ে আটকে পড়েছে প্রায় দশ হাজার পর্যটক।
বিস্তারিত জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে পরমাশিষ ঘোষ রায়।