শনিবার পাঠানকোটে জঙ্গী আক্রমণের পরেও কি ১৪ ও ১৫ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারত আর পাকিস্তানী বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক? রবিবার পর্যন্ত অন্তত রাওয়ালপিন্ডির বৈঠক বাতিলের কোনও ইঙ্গিত নেই। বস্তুত কয়েক দিন আগে লাহোরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রিদের আকস্মিক বৈঠকের সময়ই তাঁরা জানতেন, যে কোনও শান্তি আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হলেই আলোচনার বিরোধীরা কোনও একটা ঘটনা ঘটিয়ে শান্তি প্রচেষ্টা বরবাদ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এ কথাও ঠিক যে, বিজেপি নেতারা অতীতে বহু বার বলেছেন, সন্ত্রাস আর শান্তি প্রচেষ্টা পাশাপাশি চলতে পারে না। তা সত্বেও রবিবার পর্যন্ত প্রস্তাবিত বৈঠক বাতিল বা মূলতুবি রাখবার কথা শোনা যায় নি। অর্থাত, নরেন্দ্র মোদি শান্তির প্রচেষ্টা এগিয়ে নিয়ে যেতেই বদ্ধপরিকর। দেশের মধ্যেই কিন্তু প্রধানমন্ত্রির পাকিস্তান-নীতি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের কাছে প্রবল সমালোচনার মুখে। তবে জঙ্গীরা নিজেদের লক্ষ্যমত বিমানঘাঁটিতে দাঁড় করিয়ে রাখা কোনও যুদ্ধবিমান বা হেলিকপটার ধ্বংস করতে সমর্থ হলে কি প্রতিক্রিয়া হত, তা বলা কঠিন।