ভারত ও চীনের মধ্যে বিতর্কিত ডোকালাম সমস্যার সমাধান মিটতে না মিটতেই ভারত-চীন সীমান্ত বরাবর ফের তিব্বতকে কেন্দ্র করে সামরিক তৎপরতা বাড়ানোয় মনোনিবেশ করেছে চীন। কূটনৈতিক মহলের অভিমত যে কোনও মূল্যে ভারতকে চাপে রাখা। সীমান্তের ওপারে, স্বশাসিত অঞ্চল তিব্বতে চীনের এহেন তৎপরতাকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না ভারতও।
ইতিমধ্যেই বায়ুসেনাকে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নয়া দিল্লি। সেইমতো শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ওই এলাকায় প্রতিরোধ করার মত পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেনাঘাঁটিগুলিতে রাফাল যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি চিনুক এবং অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের একটি করে স্কোয়াড্রন মোতায়েন রাখার কথা ভাবছে বায়ুসেনা কর্তৃপক্ষ। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) বরাবর তিব্বতজুড়ে সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ারফোর্স ও চীনের বায়ুসেনা। রাস্তা, বিমানবন্দর, বাঙ্কার তৈরির মতো পরিকাঠামোগত কাজের পাশাপাশি জোরকদমে চলছে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বসানোর কাজও। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে সতর্ক করতেই তৎপরতা বাড়িয়েছে দিল্লি। পাল্টা প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়া নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক সারেন কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষকর্তারা। সিদ্ধান্ত হয় ভারত ও চীন সীমান্তজুড়ে প্রতিরক্ষা পরিকাঠামো ঢেলে সাজানো হবে।