দেশ জুড়ে ভারত সরকারের ৩৩ লক্ষ কর্মচারি ১১ জুলাই, সোমবার এক দিনের ধর্মঘটের নোটিস দিয়েছেন। তাঁদের ক্ষোভ, সম্প্রতি তাঁদের যে বেতনবৃদ্ধি হল, তা প্রত্যাশা মেটাতে পারে নি। যেমন, তাঁদের দাবি ছিল, সর্বনিম্ন বেতন হোক ২৬ হাজার টাকা, বাস্তবে হয়েছে ১৮ হাজার টাকা মাত্র। ক্ষোভের আরও নানান বিষয় রয়েছে। ভারত সরকার বেশি উদ্বিগ্ন রেলের প্রস্তাবিত ধর্মঘট নিয়ে। প্রতি দিন রেলে চাপেন ২৩ মিলিয়ন মানুষ, পণ্য পরিবহন হয় ১,১০০ মিলিয়ন টন। দেশের যাবতীয় পণ্য পরিবহনের ৩৬% হয় রেলে চেপে। রেল ধর্মঘটেপ্রতি দিনের লোকসান ২,৫০০ কোটি টাকা।দেশে সর্বশেষ রেল ধর্মঘট হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। শেষ পর্যন্ত ২০ দিন পরে তা প্রত্যাহৃত হয় সরকারি দমন-পীড়নের চাপে। এ বারও সরকার কর্মচারিদের হুঁশিয়ার করে দিয়েছে ধর্মঘটে যাওয়ার বিভিন্ন শাস্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে। বোঝাই যাচ্ছে, ধর্মঘট নিয়ে দু তরফে পাঞ্জা কষা শুরু হয়ে গেল। সোমবারের আগে একটা বোঝাপড়া হয়ে না গেলে পরিস্থিতি কিন্তু অপ্রীতিকর হয়ে উঠতে চলেছে।
এ সম্পর্কে কলকাতা থেকে গৌতম গুপ্তের রিপোর্ট।