জঙ্গিসংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন সদস্য নয়...রাজ্যের বর্ধমান জেলায় আটক সন্দেহভাজন সরাসরি আইএসআইএস-র সঙ্গে যুক্ত।
গতকাল রাত থেকে টানা জেরার পর গোয়েন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই আইএসআইএস-র সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে বছরপচিশের এই যুবকের।শুধু তাই নয় রাজ্যেরবীরভূম জেলারলাভপুর বিডিও পাড়ায় বাড়ি মসিউদ্দিন ওরফে মুসা নামের আটক ওই যুবকের সঙ্গে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ নেতা সফি আরমারের নিয়মিত ই-মেল ও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট-র মাধ্যমে কথোপকথন হত।
পাশাপাশি, গোয়েন্দারা আরো জেনেছেন যে মুসার সঙ্গে ফেসবুক মেসেঞ্জার ও ই-মেল চ্যাট মারফত বাংলাদেশের সন্দেহভাজন জনা দু’য়েক আইএস জঙ্গির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল। গতকালই চেন্নাই থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়া স্টেশন আসে মুসা। তারপর কলকাতার ধর্মতলায় পৌছে ধারাল অস্ত্র কেনে এবং ফের হাওড়া স্টেশনে গিয়েবিশ্বভারতী ফাস্ট প্যাসেঞ্জারে চেপে বসে।
চেন্নাই থেকেই গোয়েন্দারা তার পিছু নিয়েছিলেন বলেই জানাগেছে।শেষমেষ বর্ধমান রেল পুলিশের সাহায্যে তাকে বর্ধমান স্টেশনে আটক করা হয়। রাতভর বর্ধমান জিআরপি থানাতে জেলার পুলিশ সুপার, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এবং সিআইডি-র অফিসাররা জেরা করেন মুসাকে। ভোরবেলা তাকে বর্ধমান থেকে বের করে বেলায় ভবানী ভবনে সিআইডি-র সদর দফতরে নিয়ে আসা হয়। এনআইএ-র গোয়েন্দারাও মুসাকে জেরা করেছেন একপ্রস্থ। তবে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে জড়িত জামাত জঙ্গিদের সঙ্গে মুসার যোগসূত্র মেলেনি।
বিস্তারিত জানিয়েছেন পরমাশিষ ঘোষ রায়।