ভারতে ইদানিং গান্ধীজিকে নস্যাৎ করে তাঁর হত্যাকারী গডসের প্রশংসা করার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে ভারতীয় প্রশাসনের আমলারাও যোগ দিচ্ছেন।
মুম্বাইয়ের একজন মহিলা আইএএস অফিসার নিধি চৌধরী, যাঁর হাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক ভার রয়েছে, তিনি বলেছেন, "বিশ্বের যত জায়গায় গান্ধীজির মূর্তি রয়েছে সেগুলো ভেঙে ফেলা উচিত, তাঁর নামাঙ্কিত সব সংস্থা ও রাস্তার নতুন নাম দেওয়া উচিত, ভারতীয় টাকা থেকে তাঁর ছবি মুছে ফেলা উচিত। আমি ধন্যবাদ জানাই নাথুরাম বিনায়ক গডসেকে, ১৯৪৮ সালের ৩০শে জানুয়ারি গান্ধীজিকে গুলি করে মারার জন্য।" তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে কংগ্রেস তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ভারতে জাতির জনক বলে সম্মানিত মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যাঁকে মহাত্মা আখ্যা দিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক কালে ভারতেই একটি বিশেষ মতাবলম্বী শ্রেণীর লোকেরা তাঁকে অসম্মান করা ও তাঁর হত্যাকারী নাথুরাম বিনায়ক গডসেকে বড় করে দেখাতে চাইছে। এর আগে কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠন হিন্দু মহাসভার নেত্রী পূজা শকুন গান্ধীজির ছবিতে গুলি চালিয়ে ঘৃণা দেখিয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত অভিনেতা কমল হাসন যখন বলেছিলেন, গডসেই স্বাধীন ভারতের প্রথম হিন্দু সন্ত্রাসবাদী, তখন বিজেপি প্রার্থী এবং এখন বিজেপি সাংসদ স্বঘোষিত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং বলেছিলেন, গডসে প্রকৃত দেশপ্রেমিক।