ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার জানান তাঁর সরকার বিতর্কিত ৩টি কৃষি আইন রোহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে ৩টি আইন ৭ বছর আগে ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সর্ববৃহৎ প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছিলো এবং যা সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়I
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী'র অপ্রত্যাশিত ঘোষণা সরকারের নীতির এক বড় পরিবর্তন হিসাবে ভাবা হচ্ছে। সরকার ঐ আইনগুলোর পক্ষে বার বার অবস্থান নিয়েছিল। উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাবসহ বিভিন্ন রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক নির্বাচনের আগে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো। ঐ দু’টি প্রদেশে কৃষকরা আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন, "আমরা তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মাসে নির্ধারিত সংসদ অধিবেশনে এইপ্রক্রিয়া শুরু করা হবে।" তিনি বলেন এটা গুরুত্বপূর্ণ যে "সব কৃষককে এসব আইনের সুফলগুলি বোঝাতে আমরা সক্ষম হয়নি"I
তিনি বলেন, "আমি আশা করি ,প্রতিবাদী কৃষকেরা এখন যার যার বাড়িতে ফিরে যাবেন, ক্ষেতে কাজ শুরু করবেন এবং নতুন করে তাদের জীবন শুরু করবেন"I
উত্তর ভারত থেকে লক্ষ লক্ষ কৃষক এক বছর ধরে রাজধানী নতুন দিল্লি সংলগ্ন মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেন এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে যে যতক্ষণ বেসরকারি খাতে তাদের পণ্য বিক্রির আইন বাতিল না হয়েছে, তারা পথে অবস্থান করবেনI বড় বড় সংস্থাগুলি পণ্যের দাম কমিয়ে দেবে এবং তাদের জীবিকা নির্বাহকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে এই আশংকায় তারা ভারতে সর্ববৃহৎ গণ-বিক্ষোভের আয়োজন করেI
প্রধানমন্ত্রী মোদী শিখ সম্প্রদায়ের উৎসব,"গুরু পুরাব" অনুষ্ঠানের দিন এই ভাষণ দেনI মহাসড়কে প্রতিবাদকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের কৃষক।
তাঁর এই ঘোষণার পর কৃষকদের মাঝে আনন্দ উৎসবের বন্যা বয়ে যায়, মহাসড়কে যেখানে তারা তাঁবৃ ফেলেছিলেন সেখানে মিষ্টি বিতরণের করা হয়এবং সেই সঙ্গে তারা শ্লোগান তোলেন, "কৃষক সম্প্রীতি দীর্ঘজীবী হোক"I