সেই গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে উত্তর আর দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি। দক্ষিণ কোরিয়ার পেছনে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। আর উত্তর কোরিয়াকে মদত জুগিয়ে পরমাণু শক্তিধর করে তুলেছিল চীন। সেই পরম শত্রুরা যদি সিঙ্গাপুরে এসে শান্তির করমর্দন করতে পারে, পাকিস্তান আর ভারত কেন সাত দশকের বৈরিতা সরিয়ে রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্কে পৌঁছতে পারে না?
পরমাণু অস্ত্রের রক্ত চক্ষু যে সমাধান নয়, বরং আত্মধ্বংসের দিকে আরেক পদক্ষেপ, এই অনুভব যতই বাড়বে, ততই শত্রু দেশেরাও মৈত্রীর কথা ভাববে। ভারত-পাকিস্তান কি তা বোঝে না? আপাতত, ভারত উত্তর কোরিয়ার তৃতীয় বাণিজ্য সঙ্গী থাকার পরে এবার যে দু'দেশের বানিজ্য ঘনিষ্ঠতা বাড়বে, তাতে সন্দেহ নেই।