নৌকার যাত্রী, যাদের অধিকাংশই মহিলা এবং শিশু, তাদের গুরুতর অবস্থার সম্মুখীন হওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে, দেশটির রাজনৈতিক, আইন ও নিরাপত্তা বিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রকের শরণার্থী টাস্ক ফোর্সের প্রধান আর্মড বিজয়া।
বিজয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “ইন্দোনেশিয়ার সরকার মানবিক কারণে বর্তমানে বিরুয়েন জেলার কাছে সমুদ্রে ভেসে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে”।
এর আগে, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির নৌকাটি ভিড়বার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান সত্ত্বেও, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছিল, তারা নৌকাটিকে আন্তর্জাতিক জলসীমায় ফিরিয়ে দেবে।
নৌকাটিকে আবার সমুদ্রে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর মঙ্গলবার জানিয়েছে, ঐ জলযানটি ফুটো হচ্ছে এবং এর একটি ইঞ্জিনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই কঠোর আবহাওয়ায় খোলা সাগরে ভাসা নৌকাটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, তারা আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য প্রোটোকলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়াসহ রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে সরকার এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সবরকম সহায়তা করতে প্রস্তুত।
রোহিঙ্গাদের দলগুলো বাংলাদেশের জনাকীর্ণ শরনার্থী শিবির ছেড়ে এই অঞ্চলের অন্যান্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রপথে ভ্রমণের চেষ্টা করছে।