বুধবার ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০০,০০০ ছাড়িয়ে গেছে।সবচেয়ে খারাপ ধরণের মহামারীর মোকাবেলা করছে ইন্দোনেশিয়া এবং ডেলটা প্রকরণের কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে সংখ্যাটি আরও বেশি হতে পারে।
ইন্দোনেশিয়া ৫০,০০০ মৃত্যুর সংখ্যা অতিক্রম করতে সময় লেগেছে ১৪ মাস। এবং সংখ্যাটি দ্বিগুণ হতে সময় লাগে মাত্র নয় সপ্তাহের কিছু বেশি সময়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ১০০,০৩৬।
এই পরিসংখ্যানগুলি কম বলে মনে করা হচ্ছে।
একটি স্বাধীন ভাইরাস ডেটা গ্রুপ যারা বাড়িতে মৃত্যুর হিসাব রাখে, ল্যাপরকোভিড-১৯ অনুসারে জুনের শুরু থেকে, বাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় ২৮০০’র ও বেশি লোক মারা গেছে। ল্যাপরকোভিড-১৯ এর একজন প্রতিষ্ঠাতা, আহমাদ আরিফ বলেন, সরকারী হিসাবে বাড়িতে মৃত্যুর পুরো সংখ্যাটি প্রতিফলিত হয়নি। হাসপাতাল তাদের চিকিৎসা-সেবা দিতে অপারগতা জানানোর কারণে ঐ মানুষগুলো বাড়িতেই ছিলেন। ওষুধ, অক্সিজেন ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়।
ডব্লিউএইচও বলছে হাসপাতালগুলোতে আইসোলেশন কক্ষ, অক্সিজেন সরবরাহ, চিকিৎসা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, সেইসাথে মোবাইল ফিল্ড হাসপাতাল এবং মৃতদেহ রাখার জন্য ব্যাগ প্রয়োজন।
ইন্দোনেশিয়া হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব লিয়া পার্টাকুসুমা বলেছেন, নিবিড় পর্যবেক্ষণ শয্যার সংকট রয়েছে, বিশেষ করে জাভার বাইরে, যেখানে বাড়িতে অনেক লোকের মৃত্যুর খবর পেয়েছে তার এসোসিয়েশন।